গোলাপকাঠের মশলার বাক্স- বৈশাখী রায়

 


গোলাপকাঠের মশলার বাক্স

বৈশাখী রায়

               


         গোলাপকাঠের মশলা-বাক্সটা হারিয়েই গিয়েছে মনে হয়। কাল থেকে ওটা আঁতিপাতি করে খুঁজে চলেছেন মহামায়া। কাবার্ড, জাল-আলমারি, চিমনির পাশের তাকগুলো,মায় গ্যাস বার্ণারের তলাটা পর্যন্ত বাদ রাখেননি; কোত্থাও নেই। অথচ বেশ মনে আছে গত পরশুরাতে ওটা থেকেই তো স্টার আনিসগুলো বের করলেন! একরাতের মধ্যে বেমালুম হাওয়া হয়ে গেলো নাকি বাক্সটা! তাও কি সম্ভব! তবে কি কেউ জেনেবুঝে সরিয়ে নিলো ; ঘরে তো মোটে তিনটি প্রাণী; এমন কাজ করবেই বা কে!

         মহামায়া রান্নাঘর অন্তপ্রাণ। এই বিষয়ে শৈলর শাশুড়ির সাথে তাঁর মিল এবং অমিল দুইই আছে। বিধবার একমাত্র ধন- কোলের ছেলে কিংবা বুড়োবয়সে দু'দণ্ড জিরোনোর জায়গা ঠাকুরঘরের দখলও তিনি হেলায় হারাতে রাজি; কিন্তু রান্নাঘর! নৈব নৈব চ! ছেলের বিয়ের আগেই সেকথা পষ্টাপষ্টি বনানীকে জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। বনানীর অবশ্য তাতে অসুবিধা ছিলো না কখনোই,  যদিও রান্নাবান্না করতে খারাপ লাগে না তার, তবে সদ্য বিবাহিত জীবনে আপাতত সে বাপেরবাড়ি, শ্বশুরবাড়ি আর অফিসবাড়ি নিয়ে হেজে আছে বিস্তর। এখানে আবার উপরি পাওনা হিসেবে মশলা-চা'টুকু পর্যন্ত টেবিলে হাজির হয় বিনা আয়েসে। মহামায়া তাই জানেন, মশলার বাক্সের হদিসটুকু পর্যন্ত বনানীর অজানা। ছেলে অরূপ তো সকালে বেরোয়; ফেরে সেইই রাতে; তাকেও সন্দেহ করতে নারাজ মহামায়া। তবে কে? এবং তার থেকেও বড়ো প্রশ্ন হলো কেনো? এতকিছু থাকতে একটা তুচ্ছ মশলা-বাক্সের ওপরেই নজর পড়ার কারণ কিছুতেই খুঁজে পেলেন না তিনি। অথচ বাক্সটা বড়ো দরকার যে, কাল থেকেই উতলা হয়ে আছেন দম বিরিয়ানি রাঁধবেন বলে! এই চৌত্রিশ বছরের সংসারে একটাদিনের জন্যও কাছছাড়া করেননি ওটা, আজ এত বছরের সঙ্গীকে হারিয়ে বড়োই অস্হির হয়ে পড়লেন তিনি। আরো একবার ভালো করে গোটা রান্নাঘরটা ঘেঁটেঘুটে দেখেও, না পেয়ে  অবশেষে ক্ষান্ত দিয়ে ড্রয়িংরুমে এসে ধপ্ করে বসে পড়লেন মহামায়া। তাঁর মাথা ঘুরছে, চোখে অন্ধকার দেখছেন, জিভের ডগা শুকনো....সকাল থেকে জলটুকু খাওয়ার কথা মনে ছিলো না , মশলা-বাক্সটা নিংড়ে নিয়েছে যাবতীয় মনোযোগ! ঝাপসা দৃষ্টিতে মহামায়া শুধু দেখতে পেলেন বনানী ছুটে আসছে এদিকে। তারপর আর কিছুই মনে নেই !

        অষ্টমঙ্গলার পর নতুন-বৌ সবে রান্নাঘরে ঢুকেছে, অপটু হাতে নাড়াচাড়া করছে হলুদ-জিরে-মরিচের কৌটো।  লাল রঙের সুতির  শাড়ির আঁচলে এখনো কাগজের স্টিকার মারা, মোটা মোটা শাঁখার গায়ে নেইলপলিশের এবড়ো-খেবড়ো ফোঁটা, এখনো মাথায় টানা সিঁদুর, আর পায়ের গোড়ালিটা আলতায় ঢাকা।  অনভ্যাসের শাড়ি, ঘোমটা, গয়না, গলার তুলসীকাঠের মালা- সবেতেই চুড়ান্ত অসাচ্ছন্দ্য বোধ করছে মহামায়া। তার ওপর আবার জলখাবার বানাতে হবে! একান্নবর্তী বিশাল রান্নাঘরটির হাঁ-মুখ করা রাবণের চিতাসদৃশ উনুন আর একগাদা বিরাট বিরাট লোহা-কাসা-পিতলের মধ্যে দাঁড়িয়ে দু'বার ঢোক গিলল সে। নাহ্; বাড়ির আদরের ছোটোমেয়েকে রান্নাঘর থেকে দূরেই রেখেছিলেন মহামায়ার মা; টুকটাক ঠেকনা দেওয়া কাজ চালাতে পারলেও এই বিশাল যোগাড়ের মধ্যে পড়ে রীতিমতো থতোমতো খেয়ে গেল সে।

          প্রায় আধঘণ্টা বাদে, মহামায়া যখন খাবার বানানোর কথা বেমালুম ভুলে হাঁ করে কালিপড়া কড়িকাঠ আর বিশাল বিশাল চিনামাটির বয়াম গুণছে, তখনই দরজা দিয়ে ঢুকলেন দয়াময়ী; সকলে ওনাকে বড়মা বলেই ডাকে। লম্বা, ফর্সা, সাদা কাপড় পরা, চুড়ো করে চুলবাঁধা, আপাতকঠিন মানুষটি যে অপার স্নেহের আধার, তা সেদিনই টের পেয়েছিলেন মহামায়া। ওনার হাতেই ছিল বাক্সটা। পালিশ করা কাঠের গোলাকার একটা বাক্স, ডালায় সুক্ষ্ম মিনাকারি কাজ করা, লতাপাতা ফুলের নকশা কাটা,  চ্যাপ্টামতো, তাতে মোট নয়টা খোপ। একহাতেই ধরা যায় সেটা। মহামায়া পরে জেনেছিলেন ওটা ছিলো গোলাপকাঠের তৈরি।

         মশলার বাক্সটা ওইদিনই  মহামায়ার হাতে তুলে দিয়ে দয়াময়ী বলেছিলেন, " জানিস বৌ, মশলা হলো এমন একটা জিনিস, যা যেকোনো খাবারকে আলাদা আলাদা স্বাদ দিতে পারে। ধর, তুই শুধু  মৌরি ফোড়ন দিয়ে একরকম স্বাদ আনতে পারিস, আবার রাঁধুনি ফোড়ন দিলেই পাল্টে দিতে পারিস স্বাদ। ভাজা মেথির স্বাদ এক, আবার মেথিশাক শুকনো খোলায় নেড়ে হালকা হাতে গুড়িয়ে নিয়ে তরকারিতে ছড়ালেই আরেক স্বাদ, ডালে পাঁচফোড়ন দিলে বেশ লাগে, কিন্তু হিং দেওয়া ডাল খেয়েছিস বৌ? শোন্ বৌ, রান্নাকে যত ভয় পাবি, তত দেখবি নুন বেশি পড়বে, ঝোল ট্যালট্যাল করবে, মশলা কষালেও কাঁচা গন্ধ ছাড়বে না, আর একটু ভালোবাসলেই দেখবি রান্নাও তোর কথা শুনছে, যেমন বলবি, তেমন রং-রূপ নেবে রে।"

                 এইভাবেই শুরুটা হয়েছিলো, দয়াময়ী হাতে ধরে তৈরি করেছিলেন মহামায়াকে, অবশ্য মহামায়ারও শখ ছিলো বৈকি, তিনিও নিশ্চিত বুঝেছিলেন, রান্নাকে ভালো না বাসলে পাকা রাঁধুনি হওয়া যায় না কোনোমতেই। দয়াময়ী শিখিয়েছেন রাঁধুনিবাটা দিয়ে কেমন পাল্টে ফেলা যায় শুকতোনির স্বাদ, মশলার বাক্সের একদম কোণের একটা খোপ থেকে একটু কেশর বের করে বলেছিলেন,  "দুধের স্বাদে মিশিয়ে দেখেছিস কখনো এ জিনিস? দেখবি কেমন স্বাদ পাল্টে যায়!" কাঁচা সরষের সাথে দুটো কাঁচা লঙ্কা বেটে নিলে তিতকুটে স্বাদটা মরে, আর কাসুন্দি বানাতে হয় ছাড়া কাপড়ে; এইসবই দয়াময়ীর কাছে শেখা। কালে কালে মহামায়াও তো কম শিখলেন না কিছু। রোজকার ডাল ভাত বেগুনভাজাও কথা বলতো তার হাতে, পরে কায়দা করে এর ওর কাছে শিখেছেন আরো অনেক পদ- মোগলাই, চিনা-জাপানি থেকে শুরু করে লাউয়ের পায়েস, চিতলের মুইঠ্যা কিছুই বাদ রাখেননি। একান্নবর্তী রান্নাঘরটা ছিলো তার যাবতীয় পরীক্ষা নীরিক্ষার আতুড়ঘর। মশলার বাক্সটাও ততদিনে জায়ফল, জয়িত্রি, কাবাবচিনি, বড়ো এলাচি, চারমগজ , পোস্তদানার ভারে উপচে পড়ছে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো, "বৌ এসেছে বটে রায়বাড়িতে! সাক্ষাৎ দ্রৌপদী যেনো!"

         সেসব কবেকার কথা, তারপর কতকাল কেটে গিয়েছে, ভাঙন ধরেছে যৌথ পরিবারে, সাবেকি রান্নাঘরে একসাথে তিন-চারটে চুলো জ্বলেছে কতদিন; টুকরো টাকরা হয়েছে সংসার।  তারও অনেক পরে স্বামীর বদলি, গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে একচিলতে ভাড়াবাড়িতে নতুন ঠাঁই; তারপর একটা নিজের বাড়ি, এমনকি ছেলের চার-কামরার ফ্ল্যাটবাড়ি, সবকিছুরই সাক্ষী বাক্সটা। ওই একটা জিনিস একদিনের জন্যও হাতছাড়া করেননি মহামায়া। এমনকী স্বামীর মৃত্যুর পর, মৎস্যমুখের দিনও বাক্সটা খুলে বসেছিলেন তিনি- রান্না করবেন; কর্তা বড়ো ভালোবাসতেন যে তাঁর রান্না।

          তারপর এই তো সেদিনের কথা, ছেলে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছে,  মহামায়া পড়লেন রান্নাঘর নিয়ে। হালকাফুলকা হালফ্যাশনের জিনিস তার মোটে পছন্দ না, বাকি ঘরগুলোর সাজসজ্জা হবু বৌ আর ছেলে মিলে ঠিক করলেও রান্নাঘরের প্রতিটা আসবাবপত্র মহামায়ার পছন্দের। ভারী কাঠের পাল্লার বার্ণিশ করা কাবার্ড, জাল বসানো আলমারি, তামা আর কাঁসার বাসন, বাসন রাখার দেরাজ এমনকী সাবেকি ধাঁচের গ্যাস বার্ণারটুকুও খুঁজেপেতে পছন্দ করে কিনেছেন তিনি। ঘষা কাঁচের জানালা, কালচে ছোপের টাইলস এমনকী পিতলের নকশাকাটা কলগুলো পর্যন্ত সাবেকিয়ানা বজায় রাখতে মরিয়া। আর আছে গোলাপকাঠের বাক্সটা; দীর্ঘদিনের ব্যবহারে তার চেহারার সেই ঔজ্জ্বল্য আর নেই, চলটা উঠেছে এদিক ওদিক, তবুও অপার স্নেহে সেটা আগলে রাখেন মহামায়া; যেনো প্রাণপণে আকড়ে থাকতে চান একটা বিগত দশকের স্মৃতি- ঐতিহ্য আর মায়ায় মোড়ানো একগুচ্ছ স্মৃতি।

          সেই গোলাপকাঠের মশলার বাক্সটাও হারিয়ে গেলো অবশেষে। শত শত ভাঙ্গাগড়ার সঙ্গী একটা যুগের অবসান হলো যেনো!

                                             ***


         একচিলতে ব্যালকনিতে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহামায়া; মহানগরীর চিরাচরিত  ব্যস্ততা এখনও শুরু হয়নি, বাতাস তাই শান্ত আর স্নিগ্ধ; আকাশের গায়ে গোপালগোবিন্দজীউয়ের শ্যামরঙা গায়ের ছোপ। কতকাল এমন আকাশ দেখেননি মহামায়া, সকাল থেকেই রান্নাঘরে ঢোকা তাঁর চিরকালের অভ্যেস, আজ এতদিনে সেই অভ্যাসে ছেদ পড়লো যেনো!

        কতক্ষণ একভাবে  ছিলেন খেয়াল নেই তাঁর, হুশ ফিরলো বনানীর রাখা চায়ের কাপের আওয়াজে, তাকিয়ে দেখেন আরো একটা কাপ হাতে চেয়ার টেনে বসলো বনানী। বিয়ের পর এই প্রথম মনে হয় বনানী  কিছু বানালো, এতদিন অবশ্য দরকারই পড়েনি তেমন, ওইদিকটা তো তিনিই সামলাতেন বরাবর, ভালোবেসেই করতেন সবটা। বনানী  অবশ্য সাহায্য করতে চেয়েছে এক দু'বার, তিনিই হেসে এড়িয়ে গিয়েছেন। কি জানি, হয়তো জায়গাটা ছাড়তে চান নি, কিংবা বলা  ভালো পারেননি ছাড়তে।

        আজ চায়ে চুমুক দিয়েই চোখ বুজে ফেললেন তিনি- চিনি কম, কড়া লিকার; মেয়েটার তবে নজর আছে সবদিকে। পরপর আরো দু'তিনটে চুমুক দিলেন মহামায়া! তারপর  একটু জোরে শ্বাস নিয়ে ভোরের বাতাস বুকে ভরে বললেন,

"জানো তো বনানী, তোমার শ্বশুরমশাই ভলেন্টারি রিটায়ারমেন্ট নিতে চেয়েছিলেন একসময়, আমার ভয়ে পারেননি, মরার আগে পর্যন্ত সেই দুঃখ ছিলো তাঁর, গোটা জীবনটা নাকি কাজই করে গেছেন; অবসর নেননি কখনো!"

        বনানীর চা শেষ হয়েছে, মহামায়াকেই দেখছিলো সে। একটু চুপ থেকে মহামায়া আবার‌ বললেন, " আজ কদিন আমার শরীরটাও বড়ো অবসর চাইছে জানো; সেই কবে থেকে সংসার সংসার‌ করে মায়া আকড়ে পড়ে আছি, ক্লান্ত লাগে এখন।"

            উঠে দাঁড়ালো বনানী, তারপর মহামায়ার কাঁধে হাত রেখে বললো, " আন্টি, তুমি না কাল‌ থেকে বড্ড ডিস্টার্বড হয়ে আছো, একটু সময় দাও নিজেকে, দেখবে সবটা ঠিক হয়ে যাবে।"

  মৃদু হাসলেন মহামায়া।

          মহানগরীর ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে আরো একটা দিনের জন্য। চায়ের দোকান থেকে গলির মোড়, ঝাড়ুদার থেকে কাগজওয়ালা; ফুলের মাসি থেকে কাজের পিসি; সবাই কাইকিচির রবে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে তৎপর! উঠে পড়লেন‌ মহামায়া; একমাত্র তাঁরই কেনো ব্যস্ততা নেই আজ।

        এই ফ্ল্যাটও সরগরম হয়ে উঠছে ক্রমশঃ। বনানী প্রথমবার সবার জন্য লাঞ্চ বানাবে; চেলো কাবাব, মাখন দেওয়া জিরা-রাইস আর বুন্দির রায়তা। স্বভবতই ভীষণ উত্তেজিত সে, ততোধিক নার্ভাসও; বারবার করে অরূপকে বুঝিয়ে দিচ্ছে বাজার থেকে কি কি আনতে হবে, কিভাবে কাটাতে হবে মাংস এইসব।

        নিজের ঘরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়ালেন মহামায়া। বয়সটা দেখতে দেখতে ষাট ছাড়িয়ে গেলো, এতদিনে সেটা খেয়াল পড়লো যেনো, অথচ তবুও মনে হয় এই তো সেদিনই ভরা কলসি চাল‌ উল্টে রায়বাড়িতে ঢুকলেন তিনি! সবকিছুই পাল্টে যায়, ছেড়ে যায়, চলে যায়, নয়তো লুকিয়ে পড়ে আড়ালে; বদলে যায় অনেককিছু, আর এই বদলটুকু সামলে নিয়েই পথ চলতে হয়।

         রান্নাঘর থেকে উৎসারিত কন্ঠস্বর ভেসে আসছিলো বনানীর, সাথে টিক্কা কাবাবের ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধটা। অরূপের উৎসাহ ও কম না, বৌ‌ প্রথমবার রান্না করছে বলে কথা। শূণ্যস্থান পূরণ হচ্ছে দ্রুত , অতিদ্রুত! সেই একটা কথা আছে না, জীবন থেমে থাকে না কারোর‌ জন্যই!

        এবার খুঁজেপেতে আরেকটা ঠিক অমনি মশলার বাক্স কিনবেন মহামায়া; অমনি গোলাপকাঠের তৈরি; ওইরকমই কারুকাজ করা , ঢাকনায় লতাপাতাফুল আঁকা। তারপর আলাদা আলাদা সুগন্ধি মশলায় ভরে তুলবেন বাক্সটির প্রতিটি প্রকোষ্ঠ, মশলার সাথে জড়িয়ে দেবেন ভালোবাসা, আর‌ তারপর বনানীকে উপহার দেবেন ওটা। মেয়েটারও রান্নাবান্নার শখ প্রবল, অনেকটা তাঁর মতোই।

        একটু সুস্থ হলেই খুঁজতে বেরোবেন অমন একটা বাক্স, এখন‌ তো তাঁর অনন্ত অবসর। ভালো করে খুঁজলে সব পাওয়া যায়; আর একটা বাক্স পাবেন না তিনি! ঠিক পাবেন। মহামায়া নিশ্চিত জানেন, তিনি পাবেনই।দু'দিন পর এই এতক্ষণে তাঁর মনটা অজানা এক আনন্দে ভরে উঠলো। আর তিনি সেই আনন্দের নাম দিলেন মুক্তি।


Baishakhi Roy