বিশেষ সাক্ষাৎকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিশেষ সাক্ষাৎকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিশেষ সাক্ষাৎকার - শ্রী অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী

 

বিশেষ সাক্ষাৎকার 

 


 

প্রখ্যাত সাহিত্যিক শ্রী অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী

সহযোগিতায় : রাখী আঢ্য  

 

     আজ আমাদের সাথে রয়েছেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও কল্পবিজ্ঞানের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক শ্রী অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী। তিনি কলকাতা নিবাসী হলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত ও সেই সূত্রে ইংল্যান্ড প্রবাসী। কর্মসূত্রে বিশ্বের নানা দেশে দীর্ঘদিন থেকেছেন। তিনি তাঁর ব্যস্ততম সময়ের মধ্য থেকে আমাদেরকে কিছুটা সময় দিয়েছেন তার জন্য তাঁকে অসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। সুদূর লন্ডন থেকে তার সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে জেনে নিয়েছি সাহিত্য এবং এই সময়ের কিছু কথা।


প্রশ্ন ১) আপনি এই সময়ের কল্পবিজ্ঞানের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। সত্যজিৎ রায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অদ্রীশ বর্ধন, অনীশ দেবের   পরেই আপনার নাম আসে। এই কল্পবিজ্ঞান লেখা শুরু করার পেছনে ইতিহাস কি?

উত্তর: কল্পবিজ্ঞান লেখার একটা বড় কারণ হচ্ছে যাতে পাঠকদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ে এবং  বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়, তার থেকেই লেখা শুরু করেছি। আমার মনে হয় যে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব বাড়ছে, তাই আমাদের বিজ্ঞান আরো ভালোভাবে জানা উচিত। কল্পবিজ্ঞান লেখা শুরু করার এটা একটা অন্যতম কারণ। একই সাথে আমি মনে করি যে কল্পবিজ্ঞান মানেই শুধু বিজ্ঞান বা ফ্যান্টাসি নয়, তার মধ্যে যেন গল্প থাকে এবং সেটা লেখা অনেক শক্ত। সেই জন্য কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে গল্প বলতে ভালোবাসি।

প্রশ্ন ২)  যারা কল্পবিজ্ঞান লিখতে চান তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

 
উত্তর: প্রথমে অবশ্যই তাদের প্রচুর কল্পবিজ্ঞান, বিজ্ঞানের প্রবন্ধ পড়তে হবে। এছাড়া বিজ্ঞান নিয়ে কোথায় কি কাজ হচ্ছে সেগুলো জানতে হবে। সবার আগে গল্প কি করে লিখতে হয়, গল্প লেখার স্টাইল, অভিনবত্ব এগুলো শিখলেই কল্পবিজ্ঞান লেখা যাবে।

প্রশ্ন ৩) আপনার কল্পবিজ্ঞানের অন্যতম দুই  জনপ্রিয় চরিত্র অনিলিখা ও মিস্টার পাই। এই চরিত্র দুটি কি কাল্পনিক না বাস্তবে এদের কোন অস্তিত্ব আছে?

উত্তর: না, অনিলিখা চরিত্রটির মধ্যে বাস্তবের কোনো প্রতিফলন নেই, পুরোটাই কল্পনা। আমি চেয়েছিলাম কোন নারী চরিত্রের মাধ্যমে অ্যাডভেঞ্চার, কল্পবিজ্ঞান এগুলো নিয়ে আসতে যেহেতু এইগুলির উপরে নারী চরিত্র বিশেষ ছিল না।  আমার কিছুটা প্রভাব অবশ্যই অনিলিখা চরিত্রের উপরে রয়েছে, যেটা যেকোনো লেখকেরই তাঁর সৃষ্টির উপর থাকে।


আর মিস্টার পাই এর চরিত্রটি আমি অনিলিখার অনেক পরে নিয়ে আসি। এটাও একটা কাল্পনিক চরিত্র। যদিও এর উপর খানিকটা প্রভাব সমুদ্র বসুর আছে। সমুদ্র বসু কিশোর সাহিত্যের একজন খুব ভালো পাঠক। এছাড়া তার বাংলা সাহিত্যের প্রতি  আগ্রহের দিকটি আমি মিস্টার পাই এর  মধ্যে নিয়ে এসেছি। তবে মিস্টার পাই এর বৈজ্ঞানিক দিকটা কিন্তু কল্পনা।


প্রশ্ন ৪) বড়দের জন্য লেখা গল্পগুলো খুবই জনপ্রিয় হয়েছে, এর মধ্যে অপেক্ষা, শেষ চিঠি, সীমান্তের মতো গল্পের নাম উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু আপনার কাছ থেকে বড়দের লেখা কম পাই কেন?


উত্তর: যে গল্পগুলো আমি লিখি তা পুরোটাই সব বয়সের জন্য। বড়দের জন্য লিখলে সেটা শুধুমাত্র বড়দের কাছে পৌঁছাবে। তার থেকে আমি এমন গল্প লিখবো যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে যে কিশোর  পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয় সেগুলো সব বয়সের জন্য লেখা। তবে আমার ইচ্ছা আছে বড়দের জন্য লেখা। এবারে শারদীয়া নবকল্লোল আমি লিখেছি। এইরকম কিছু  ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা রইল।

প্রশ্ন:৫)  আপনার গল্পগুলোয় রহস্য- ফ্যান্টাসি- রোমাঞ্চতে ভরপুর। রয়েছে বিজ্ঞান এবং অ্যাকশন। কল্পবিজ্ঞানের মোড়কে আপনার গল্পে মানবিকতার ছোঁয়া থাকে। বর্তমানে ডার্ক রহস্য, তন্ত্র-মন্ত্র গল্পের প্রাধান্য চলছে এতে কি মানুষের মনে নেগেটিভ প্রভাব বেশি পড়ছে আপনার কি মনে হয়?

উত্তর: অবশ্যই পড়ছে। তন্ত্র-মন্ত্র, ডার্ক লেখা লিখতে আমি পছন্দ করিনা। বর্তমানে আমাদের মানসিকতার মধ্যে অন্ধকার দিকটি বড় বেড়ে গেছে।সেই অংশটা কে ব্যবহার করে লিখে মানুষকে আরো কুসংস্কার বা অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা এক প্রকার অপবিজ্ঞান কে সমর্থন করাই হচ্ছে। এতে কিছু পাঠক হয়তো বাড়ছে কিন্তু এর বাইরে অন্য ধরনের লেখা লিখে পাঠক তৈরি করা অনেক বেশি শক্ত কাজ কিন্তু এর সার্থকতা অনেক গুণ বেশি।

প্রশ্ন:৬) পৃথিবী ছাড়ার দিন, নিশীথের টেনিস ম্যাচ, অরিজিতের একটি দিন গল্পগুলি কোন বইতে সংকলিত হয়েছে?

উত্তর: এটা খুব ভালো প্রশ্ন। পৃথিবী ছাড়ার দিন, অরিজিতের একটি দিন এই দুটি গল্প শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে প্রকাশিত "রাতের ট্রেনের সঙ্গী" এই বইটিতে সংকলিত হয়েছে। 'নিশীথের টেনিস ম্যাচ' এই গল্পটি এখনো কোন সংকলনে বের হয়নি। এটি সম্ভবত দু'হাজার সালের শুরুর দিকে আনন্দমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল। এটা আমার পছন্দের অন্যতম গল্প।

প্রশ্ন:৭) কিশোর সাহিত্য রচনা করা প্রাপ্তমনস্ক সাহিত্যের থেকে কঠিন এই কথাটা কি সত্য?

উত্তর:
হ্যাঁ, সার্থক কিশোরসাহিত্য লেখা অনেক বেশি শক্ত। নতুন ধরনের চিন্তাভাবনা, কল্পনার প্রয়োজন। কিশোররা যারা নতুন পড়তে শুরু করেছে তাদেরকে পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে দেয়ার জন্য যাতে তারা একবার পড়া শুরু করলে না শেষ করে উঠতে পারে সেই রকম লেখার প্রয়োজন। বড়দের সাহিত্য যেহেতু বাস্তবধর্মী হয় তাই সেটা খুব সহজে লেখা যায়। কিন্তু কল্পনা, ফ্যান্টাসি, ভাষার প্রয়োগ এগুলো কিশোর সাহিত্যে বেশি। সাহিত্যে ভাষার ব্যাপারটা যদিও বড়দের সাহিত্যে একটু বেশি আসে। কিন্তু এখানে ভাষা বলতে আমরা বুঝি পাঠকের মনের সাথে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করা যেমন সত্যজিৎ রায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীশ দেব করেছেন এবং বর্তমানে হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত ও সৈকত মুখোপাধ্যায়ের লেখার মধ্যে সেটা দেখি, শব্দের মাধ্যমে পাঠকের সাথে একটা যোগাযোগ তৈরি করা। এটা বড়দের সাহিত্যের থেকে কিশোরসাহিত্য খুব বেশি প্রয়োজন। কারণ কিশোররা  যদি একবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে পড়ার তাহলে তারা কিন্তু আর বইটি পড়বে না বন্ধ করে দেবে।

প্রশ্ন:৮) বর্তমান সময়ে আমরা কোভিড নাইনটিন নামক ভাইরাস এর সাথে লড়াই করছি, অনেকটা সময় আমরা গৃহবন্দি হয়েছিলাম গত বছরে। সেই সময় কি সাহিত্যচর্চা বেড়ে গেছিল বলে আপনার মনে হয়? এছাড়া এই সময় অনেক ই-বুক প্রকাশিত হয়েছে এবং ই-বুক জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে যা আগে আমরা ভাবতেই পারিনি।

উত্তর:
প্যানডেমিকের সময় অনেক কিছু নতুন চিন্তাভাবনা শুরু হয়।এই সময়ে সাহিত্য চর্চা শুধু শুরু হয়ে গেছে তাই নয়, নতুন ভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানোর পদ্ধতি এসেছে। আমরা তাই ই-বুক পেয়েছি। কিছু কিছু শারদীয়াও ই-বুক হিসেবে এসেছে। অনেক খারাপ বই শুধুমাত্র মার্কেটিং এর জন্যই পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে এই মার্কেটিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি অভিজ্ঞতা আমি শেয়ার করি এখানে। এক পাঠক 'সব লজিকের বাইরে'  বইটি কিনতে গিয়ে শুনেছে সেটি একটি উপন্যাস যদিও এটি একটি গল্প সংকলন। সে মিসগাইডেড হয়ে বইটি না  নিয়েই চলে এসেছে কারণ সে গল্প সংকলন ভেবেই কিনতে গেছিল। যেখানে আজ ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ অনেক বেশি সঠিক খবর পাচ্ছে। তারা যেকোনো বই সম্বন্ধে সঠিক জেনে তারপর বইটি কিনতে যাচ্ছে।
 

কোভিডের সময় মানুষ গৃহবন্দী ছিল বটে কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে শুধু বই নয় অনেক ব্যাপারে সঠিক খবর টা পেয়েছেন। কলেজ স্ট্রিটে গিয়েও অনেক দোকানে পাঠকরা বিভ্রান্ত হয়েছেন। কোন এক দোকানে একজন জিজ্ঞাসা করেছেন কল্পবিজ্ঞানের উপর কি বই আছে? তৎক্ষণাৎ উত্তর এসেছে কল্পবিজ্ঞানের উপর তো কোন বই নেই।খুব ভালো মার্কেটিং এবং সঠিক খবরের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
 
প্রশ্ন:৯)  সংকেত রহস্য, মাঝে মাত্র 24 দিন, রহস্য যখন রক্তে ইত্যাদি আপনার জনপ্রিয় গল্পগুলো কি শুধুমাত্র  কিশোরদের জন্য না বড়রাও  পড়তে পারেন?


উত্তর:
এই গল্পগুলো সব রকম বয়সের জন্য। কিশোরসাহিত্য যারা লেখেন তার মধ্যে একটা বড় অংশ কিন্তু সবার জন্য । সার্থক কিশোরসাহিত্য অবশ্যই বড়-ছোট সবাইকে নিয়ে। সত্যজিৎ রায়ের লেখা যেমন আমরা আজও ছোট-বড় সবাই পড়ি।
 

আমার গল্পগুলি যেহেতু কল্পবিজ্ঞান নির্ভরশীল। আর এর মধ্যে বেশ কয়েকটা লেয়ার আছে সেগুলো যারা পড়েছেন বিশেষ করে বড়রা তারা বুঝতে পারবেন কেন এই প্রসঙ্গ নিয়ে আসা হয়েছে। কিশোরদের জন্য লেখা গল্পগুলোতে খুব গভীরে যাই না কিন্তু বড়রা পড়লে তারা বুঝবেন, আরো বেশী ভালো লাগবে। যেমন "মাঝে মাত্র 24 দিন" এই গল্পটি হিউম্যান মাইগ্রেশন নিয়ে। এটিও বড়-ছোট সবাইকার জন্যই। যাদের পড়াশোনা আছে তারা যেই বয়সেরই হোক না কেন তারা উপভোগ করতে পারবেন।

প্রশ্ন:১০)বর্তমানে অনুবাদ সাহিত্য বেড়ে চলেছে। বিদেশি সাহিত্য পড়ে তার ছায়া অবলম্বনে অনেক লেখা তৈরি হচ্ছে। তাতে কি মৌলিক লেখা ধীরে ধীরে কি কমে আসছে? আপনার কি মনে হয়?


উত্তর: না, মৌলিক সাহিত্য এখনো লেখা হচ্ছে। যেমন আমার সব লেখাই মৌলিক। কিছু কিছু টপিক অবশ্য থাকে তা ইউনিভার্সাল। যেমন গ্লোবাল ওয়ার্মিং।এটা নিয়ে যে কেউ লিখতে পারে।
 

এখন হয়তো একটু বেশি বিদেশী সাহিত্যের প্রভাব পড়ছে লেখাতে তার কারণ বিদেশি সাহিত্য মানুষ ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব সহজেই পড়ে নিতে পারছে।আমার 'ভয় নিচের অজানা ভাষা' গল্পটি একদম অন্যরকম।এরকম টপিকের ওপর লেখা কোথাও নেই। আর সবশেষে একটাই কথা বলার আছে যে মৌলিক লেখার উপরেই কিন্তু জোর দিতে হবে কারণ তার উপরে কিন্তু বাংলা সাহিত্যের মূল্যায়ন হবে।

প্রশ্ন:১১) আপনার লেখাগুলো ইংলিশে অনুবাদ করার কথা ভেবেছেন?



উত্তর:
আমার সেটা অবশ্য ইচ্ছা আছে, তবে ভালো ট্রান্সলেটর অবশ্য দরকার।এটার একটা বড় মার্কেট আছে। আমার ভৌতিক অলৌকিক বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ হবার কথা হয়েছিল প্রায় 4-5 বছর আগে। কিন্তু সেটা আমি করিনি শেষ পর্যন্ত কারণ ইংলিশটা খুব দুর্বল ছিল। ট্রানস্লেশন  ভালো না হলে সেটির মান কিন্তু খারাপ হয়ে যায়। আমি বিশ্বের সাতটি দেশে গেছি কাজের সূত্রে। সেখানে দেখেছি সারা বিশ্ব সাহিত্যে ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাব অনেক বেশি,কারণ  ইংরেজি ভাষাটা খুব সহজে সবার কাছে পৌঁছে যায় কিন্তু মানুষ অন্য ভাষার সাহিত্য সম্পর্কে জানতে চায় কারণ  সেই সাহিত্য থেকে সেই দেশের সময়কার কথা এবং সেই দেশের অনেক কিছু জানা যায়।যেমন আমাদের বাংলা সাহিত্য ইংরেজিতে অনুবাদ হয় তাহলে আমাদের বাংলা এবং দেশের একটা ধারণা সারাদেশে, সারা পৃথিবীর মানুষ পাবে। আমার দুটো বই ইংলিশে ট্রান্সলেশন হয়েছে,তার মধ্যে একটি হলো, 'এই পৃথিবী 100 বছর পরে'( দিস ওয়ার্ল্ড আফটার হান্ড্রেড ইয়ার্স)| এখনো এই বইদুটি  ইন্ডিয়ান মার্কেটে খুব জনপ্রিয়।
 

ভালো ট্রান্সলেশনের অবশ্যই উদ্যোগ নেয়া দরকার। অনেক লেখাই কিন্তু ফেমাস হয়েছে প্রপার ট্রানস্লেশনের জন্য। যেমন, জুল ভার্নের লেখা প্রথম অনুবাদটি ভালো ছিল না পরের অনুবাদটি  ভালো  হওয়ার জন্যই তো জনপ্রিয় হয়েছে।

প্রশ্ন:১২) বর্তমানে আপনার যে বইটি বেরিয়েছে 'শুধু একটা রাত ',    এই বইটি ভয় কেন্দ্রিক। ভয় বলতে কি শুধুই বীভৎসতা বোঝায় নাকি একটা শিরশিরানি আতঙ্ক?
 

উত্তর: ভয় বলতে বীভৎসতা রক্তপাত আমি একদমই পছন্দ করিনা।দু'হাজার কুড়ির  বইমেলায় দেব সাহিত্য কুটির থেকে আমার যে বইটি বেরিয়েছে' সেরা ভয়' এছাড়া বর্তমানে পত্রভারতী থেকেও ভয়ের উপর বই বেরিয়েছে। সেখানে  কোনো বীভৎসতা নেই। আমার গল্প গুলির মধ্যে একটা শিরশিরানি ভয় আছে,একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।। এখানে উল্লেখ করতে হয় সত্যজিৎ রায়ের লেখা খগম এবং অনাথ বাবুর ভয় গল্প দুটির কথা।
 

একদম অন্যরকম দুটি ভয়ের গল্প যেটা পড়ে আমাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। নৃশংসতা গল্পে আনা যেতেই পারে কিন্তু দেখতে হবে তা সমাজে বা মানুষের মনে কোন নেগেটিভ ছাপ না ফেলে কারণ আমাদের সমাজের প্রতিও কর্তব্য রয়েছে।
 

          অভিজ্ঞানদার সাথে আমাদের এই কথোপকথন, আলাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অনেকটা সময় আজ আমাদের সাথে কাটালেন,অনেক কিছু জানলাম। তিনি সবাইকার জন্য, তাঁর পাঠকদের জন্য  জানালেন অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। অনেক ধন্যবাদ অভিজ্ঞান দাদা। শ্রদ্ধা ও প্রণাম নেবেন।💐🙂🙏❤️

.........................