সেই চাদরখানা
মধুমিতা সেনগুপ্ত
এই চাকরিটা এবারে ছেড়ে দিতে হবে । এত বাজে কোম্পানি একে তো মাইনে কম
দেয় তার ওপর মেয়েদের বিপদ অপদ নিয়ে কিছুই ভাবে না । নিজের মনে গজ গজ
করতে করতে রিপা অটোতে ওঠে । ভেজা ছাতাটা ভাঁজ করে ঝেড়ে নেয় বাইরে । তারপর
প্লাস্টিকের বড় প্যাকেটে ঢুকিয়ে নেয় । সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি নামায় সে
ম্যানেজার বাবুকে বার বার অনুরোধ করেছিল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ছেড়ে দিতে ।
হামবাগ লোকটা খুবই গোঁয়ার এবং ভীষণ স্বার্থপর । যথারীতি আটটার আগে উনি
কিছুতেই ছাড়লেন না । এভাবে আর চালানো যাচ্ছে না । নেহাৎ টাকার বিশেষ
প্রয়োজন নাহলে প্রায়ই রাতের ট্রেনে ফিরতে তার ভীষণ ভয় হয় ।
লকডাউনের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে আবার সে কাজে যেতে
পারছে । সংসারে একটু সুরাহা হয়েছে । নিজের যাতায়াত টিফিন খরচ রেখে মায়ের
হাতে হাজার সাতেক টাকা তুলে দিতে পারে । মায়ের মলিন প্রায় রক্তশূন্য মুখে
একটা নিশ্চিন্ত হাসি ফুটে ওঠে । ওই ভরসার হাসিটুকু টিকিয়ে রাখতেই মলম
কারখানায় ওষুধ ওষুধ গন্ধের মধ্যেই সে মুখ নিচু করে কাজ করে যায় । একঘর
ভাড়াটে আছে । ওই টাকাটা খুবই কাজে লাগে ।
ছোট ভাইকে স্মার্টফোন কিনে দিতে হয়েছে । তার স্কুলের মাইনে দিতে হয় ।
তার অনলাইন ক্লাসের জন্য নেট খরচ চালাতে হয় । আট মাস আগে কোরোনায় বাবার
অকাল মৃত্যুতে তাদের মোটামুটি গোছানো জীবনটাতে দারিদ্রের ধুলো জমে গেছে ।
বাড়িতে বসে থাকলে বাবার সঞ্চয় করা টাকা শেষ হয়ে যাবে দ্রুত তাই পাড়ার
একজনকে ধরে মলম কারখানার চাকরিটা জোগাড় করে রিপা ডুবন্ত সংসারের হাল ধরেছে ।
অনলাইনে বি এ ফাইনাল পরীক্ষা টা দিয়েছে রেসাল্ট বার হলে হয়ত এর থেকে ভালো
একটা চাকরি পাবে । এই আশাতেই সে বসে আছে ।
শিয়ালদহে ঢুকে দৌড়ে গিয়ে আটটা পঞ্চাশের শিয়ালদহ রানাঘাট লোকালটা পেয়ে
যায় রিপা । ভীষণ বাজে একটা দিনের পর আচমকা বড়সড় প্রাইজ পাওয়ার মত
জানলার ধারের সিটটা পেয়ে যায় । পাশের কারখানার বনানীও আজকে দেরিতে ফিরছে ।
নিজের কলিগের জন্য রাখা সিটটা রিপাকে সে ছেড়ে দেয় । প্রচন্ড ভিড়
ট্রেনটাতে। সাধারণত এই সময় ট্রেনগুলো অপেক্ষাকৃত ফাঁকা থাকে কিন্তু
বৃষ্টির জন্য বোধহয় ভিড় আজকে ঠাসা । আজ ওর মস্ত ভুল হয়েছে । নিজের কমদামি
মোবাইলটা বাড়িতেই ফেলে রেখে এসেছে। বনানীর ফোন নিয়ে বাড়িতে জানিয়ে দেয়
ফিরতে রাত হবে ।
রুমাল দিয়ে ঘড়িটা বেঁধে রেখেছিল রিপা । সেটা খুলে ঘড়িটা ব্যাগে রেখে
ক্লান্ত মুখটা মুছে হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নেয় । অভ্যাস হয়ে গেছে । এরপর
দুজনেই যে যার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নামে অজস্র নিন্দা মন্দ করতে থাকে ।
সামান্য কটা টাকা দেয় বলে এরা যেন মাথা কিনে নিয়েছে । রাতবিরেতে মেয়েদের
নিরাপত্তা নিয়ে এরা একদমই ভাবে না । এই ট্রেনটা প্রায় এক ঘন্টা চল্লিশ
মিনিট বাদে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পায়রাডাঙ্গা পৌঁছাবে । বৃষ্টির দাপটে যদি
মাঝরাস্তায় কোথাও আটকে যায় তাহলে তো আর কথাই নেই ।
ট্রেন ছাড়া মাত্র জানালা বন্ধ করে দিতে হলো । বৃষ্টির ছাট আসছে ভেতরে
। দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিপা জানালাটা বন্ধ করে দেয় । কি লাভ হল জানালার পাশে
বসে ! আধভেজা রুমালটা মুখে চাপা দিয়ে রিপা পিছনে ঘাড় হেলিয়ে বসে থাকে ।
এত ক্যাচর ম্যাচরের মধ্যেও তার তন্দ্রা চলে আসে । শারীরিক ক্লান্তির জন্য
এরকম দমবন্ধ অবস্থাতাতেও ওর বিশ্রামের অসুবিধা হয়না ।
স্বপ্নে দেখে একটা নির্জন রাস্তায় সে হাঁটছে । সামনে থেকে একটা
আপাদমস্তক চাদর জড়ানো লোক এগিয়ে আসে । চাদরটা তো খুবই চেনা । সামনে আসতেই
সে চিনতে পারে । লোকটি তার বাবা । বাবাকে দেখে সে ভাবে বাবা কি করে আসলেন
এখানে ! বাবার যেন কি হয়েছিল একটা । কি যেন ঘটনাটা ঘটেছিল যার জন্য তার
বাবার এভাবে আসা একদমই অসম্ভব ! কিন্তু কিছুতেই সে ঘটনাটা মনে করতে পারে না
। যাক গে এসব পরে ভাবা যাবে । বাবাকে জড়িয়ে ধরতে যায় রিপা কিন্তু তাকে
অবাক করে দিয়ে তার বাবা দু পা পিছিয়ে যান । তারপর বলেন ―“ এই চাকরিটা ছেড়ে
দিয়ে রানাঘাটে ছোটখাটো কোনো কাজ জোগাড় করে নে । আমার বন্ধু অনিমেষের কাছে
যা । ও তোকে একটা কিছু রোজগারের ব্যবস্থা করে দেবে । এই যে রাত দুপুরে
ফিরিস আমি কত চিন্তায় পড়ি বলতো । "
বাবা হয়ত আরো কিছুক্ষণ স্নেহ মাখানো বকুনি দিতেন কিন্তু বনানী ওকে ডেকে জাগিয়ে দিলো ।
―“
এই ওঠ ওঠ । বাচ্চাদের মতো স্বপ্ন দেখে হাসছিস । পাগল মেয়ে । শোন চাকদা
আসছে আমি নেমে যাচ্ছি । পায়রাডাঙ্গায় ঠিক করে নামিস আবার ঘুমিয়ে পড়িস না
যেন । সাবধানে বাড়ি যাস । রিক্সা নিয়ে নিস স্টেশন থেকে । ঠিক আছে ?
বৃষ্টিটা মাঝখানে থেমেছিল আবার মুষলধারে নামলো । বাড়ি ফিরে ফোন করিস । টা
টা । "
ঘাড় নেড়ে সব
কথাতেই সম্মতি জানিয়ে হাসে রিপা । জানালা খুলে একটু সরে বসে । ট্রেন প্রায়
খালি হয়ে গেছে । বেশ কিছুটা লেট করেছে ট্রেন । বাড়ি পৌঁছাতে রাত এগারোটা
বাজবে । বনানী জাগিয়ে না দিলে বাবা হয়ত আরো কিছু বলতেন । একদম চাইলেই ছুঁতে
পারা দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা । একবার জড়িয়ে ধরে সে বলতেও পারলোনা যে
বাবা আর ছেড়ে যেও না । এখন তার মনে পড়লো বাবাকে চিরবিদায় জানানোর সময় ওই
নতুন চাদরটা বার করে মা বাবাকে চাপা দিয়েছিলেন ।
ঝাপসা চোখদুটো মুছে নিয়ে রিপা সামনের দিকে ব্যাগটা নিয়ে দুহাত গলিয়ে
নেয় । ওড়নাতে ভালো করে গিঁট মেরে ছাতা বার করে এগিয়ে যায় দরজার দিকে ।
ট্রেন থেকে নেমে সে দেখে স্টেশনে একমাত্র মহিলা সেই । সবাই দৌড়াচ্ছে দেখে
সেও দৌড়ে যায় । কিন্তু সে পৌঁছানোর আগেই গুটি কয়েক রিক্সা যাত্রী নিয়ে যে
যার গন্তব্যে চলে যায় । বেশি জল জমায় অটো চলছে না ।
দুটো রাস্তা আছে । একটা একটু নির্জন রাস্তা কিন্তু সেই রাস্তা দিয়ে
গেলে মিনিট দশেক কম সময় লাগবে । অন্যটা মেইন রোড । একটু ইতস্ততঃ করে রিপা
শর্টকাট রাস্তাটা ধরে যতটা সম্ভব জোরে পা চালায় । এই রাস্তার দুধারে অনেক
নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি হচ্ছে । যে কয়েকটা বাড়ি আছে সেগুলোতে বাসিন্দারা
খিচুড়ি আর ওমলেট খেয়ে চাদর চাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । রাস্তার দুধারে ইট বা
স্টোন চিপস উঁচু ঢিবির মতো অন্ধকার জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে । রাস্তার সব লাইট
জ্বলছে না ।
হটাৎ
রাস্তার জমা জলের উপর পিছন থেকে হাঁটার ছপ ছপ শব্দ কানে আসায় রিপা ভয়
পেয়ে পিছনে ফিরে তাকায় । শরীর হিম হয়ে যায় তার । দুটো লোক । একটা ছাতা
মাথায় বেশ জোরে তার দিকে এগিয়ে আসছে । একজনের মুখে জ্বলন্ত বিড়ি । রিপা যে
ভয়টা পাচ্ছিল সেটাই ঘটলো । আগামীকাল এই রাস্তার ধারেই তার নৃশংস ভাবে খুন
হওয়া শরীরটা পড়ে থাকবে কাদা জলের মধ্যে । রিপা আর ভাবতে না পেরে পাশের একটা
ইটের পাঁজার পাশ দিয়ে দৌড়ে একটা নির্মিয়মান বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে।
প্রথমেই রেলিংহীন সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যায় । ব্যাগটা আর ওড়নাটা
খুলে একটা অন্ধকার জায়গায় রেখে জানালার জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে নিচে তাকায় ।
লোক দুটো মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে ওকে খুঁজছে । হটাৎ একজন ওর চটির ছাপ দেখতে
পায় বাড়িটার ঠিক সামনে জমা কাদার মধ্যে । একটা অশ্লীল সিটি মেরে লোকটি
বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে । পিছনের লোকটি তাকে অনুসরণ করে ।
পা থেকে চটি খুলে হাতে নিয়ে আবার উপরের দিকে উঠতে থাকে আতঙ্কিত
রিপা । একসময় সে ছাতে উঠে আসে । লোক দুটিও ছাতে এসে হাজির হয় । তুমুল
বৃষ্টির শব্দ রিপার আতঙ্কিত আর্তনাদের শব্দ চাপা দিয়ে রাখে । একটি লোক দৌড়ে
কাছে এসে তাকে এত জোরে চড় মারে যে রিপা মাটিতে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পায় ।
তারপর সে জ্ঞান হারায় ।
জ্ঞান ফিরে রিপা দেখে সে একটা ঘরের মধ্যে শুয়ে আছে । বাইরে বাজ পড়ছে
। হাত দুটো সামনের দিকে বাঁধা । দড়িটা মুখের কাছে এনে টানাটানি করতে করতে
একটা হাত খুলে ফেলে রিপা । মাথার যন্ত্রণার জায়গায় হাত দিয়ে বুঝতে পারে
মাথা থেকে রক্ত পড়ছে । কামিজের অনেকটা ছিঁড়ে গেছে । পাশের ঘরে দুটো লোক কার
সাথে যেন ফোনে কথা বলছে । আরো কাউকে ডাকছে বোধহয় । অপরাধের সঙ্গী হিসেবে
বন্ধুর সংখ্যা বাড়াতে চাইছে বোধহয় । ফোনের ওপাশের লোকটি বা লোকেরা মনেহয়
পুলিশের ভয় দেখায় ।
কান খাঁড়া করে কথাগুলো শুনে ধীরে ধীরে উঠে বসে রিপা । জানালা দিয়ে লাফ
দিলে কেমন হয় । কিন্তু তখনই একটা লোক যমদূতের মতো সামনে এসে দাঁড়ায় । তারপর
রিপাকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে শুইয়ে দেয় । প্রচন্ড লড়াই চালায় রিপা । তারপরেই
এক আশ্চর্য কান্ড ঘটে । লোকটাকে কেউ যেন সজোরে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে
দেয় । লোকটি বোঝে এটা রিপার পক্ষে অসম্ভব ।
―“
এই কে বে অন্ধকারে .." বাকি কথা লোকটির মুখেই থেকে যায় । অন্য লোকটি একটি
বাঁশের বড় টুকরো আর মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে ঘরে ঢোকে । সে দেখে তার সঙ্গী
কে শূন্যে উঠিয়ে কেউ গ্রিল আর পাল্লা বসানোর কাজ বাকি জানালার মধ্যে দিয়ে
নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিলো । উড়ন্ত লোকটির আর্তনাদ ভেসে আসে । শেষে নিচ থেকে
সজোরে ধপ করে কিছু ভারি জিনিস পড়ার শব্দ শোনা যায় ।
হাড় হিম হয়ে যাওয়া হাত থেকে খসে পড়ে বাঁশের টুকরো । সম্পূর্ণ অদৃশ্য
কোনো শক্তি তার সঙ্গীকে যমের বাড়ি পাঠিয়েছে বুঝতে পেরে অন্য লোকটি অস্ফুটে
কি সব বলে হুড়মুড় করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকে ।
রিপা দেখতে পেয়েছে সব । তার শরীর কাঁপছে কান্নার আবেগে । ফ্রেম হীন
জানালার ওপাশের বৃষ্টির আবছা পর্দার ফ্রেমে চাদর জড়ানো পাজামা পরা নিজের
বাবাকে চিনতে তার এতটুকু ভুল হয়নি । সে কোনমতে উঠে দাঁড়ায় । দেওয়াল ধরে ধরে
নিচে নেমে আসে । দোতলার অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে নিজের ব্যাগ খুঁজে পায় ।
ওড়নাটা বেশ শুকিয়ে গেছে । সেটা ভালো করে গায়ে জড়াতে গিয়ে মনে হয় ওড়নাটা কি
একটু ভারি আর বড় হয়ে গেছে । এত কথা ভাবার মতো তার মনের অবস্থা তার নেই ।
চটি দুটো বোধহয় ছাতেই পড়ে আছে । রিপা কাঁপা শরীরে বাইরে বের হয়ে সেই
লোকটার মৃতদেহ টপকে রাস্তায় এসে দাঁড়ায় ।
ছেলেমানুষের মতো কাঁদতে শুরু করে রিপা । বাবাকে ডাকে পাগলের মতো
কিন্তু কোনো উত্তর পায় না । বৃষ্টি অনেক ধরেছে । বহু কষ্টে সে বাড়ি ফেরে ।
বাড়ির সামনে জল জমেছে । রিপার মা বাইরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন ।
ছেলে অনেক বার এগিয়ে গিয়ে দিদিকে আনতে চাইলেও তিনি যেতে দেন নি । আর দেরি
হলে তিনি নিজেই ছেলেকে নিয়ে বের হবেন । ঠিক এই দিনেই মেয়েটা মোবাইল ফেলে
গেছে । যদিও বনানী জানিয়েছে চাকদা অবধি দুজনে একসাথেই ছিল । তাহলে কেন এত
দেরি হচ্ছে তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না । রাস্তার আলোয় দূর থেকে মেয়েকে
আসতে দেখে দরজা খুলে দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন ।
একটু ধাতস্থ হয়ে শান্ত ভাবে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ঢোকেন । ছেলেকে গরম চা
করতে বলে গামছা এগিয়ে দিয়ে তিনি নিস্পন্দ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন ।
―“
এটা তুই কোথায় পেলি ! এটাতো তোর .." বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মা এর
কথা শুনে নিজের দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে রিপা । অন্ধকারে আসতে আসতে সে বুঝতে
পারেনি । পাড়ার কাছে এসে রাস্তার লাইট দেখেছিল সে । কিন্তু বাড়ি ফেরার
তাড়নায় লক্ষ্য করেনি তার গায়ে ওড়না ভেবে সে জড়িয়ে নিয়েছিল তার বাবার শেষ
যাত্রার চাদরখানা ।
কান্নায় ভেঙে পড়ে রিপা । সব ঘটনা গুছিয়ে বলতে তার আরো সময় লাগবে যে ...।।
...................................
অলঙ্করণ :- সহিষ্ণু কুড়ি