এস সি মন্ডল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এস সি মন্ডল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বছর কুড়ি পরে - এস সি মন্ডল

 

বছর কুড়ি পরে,

এস সি মন্ডল


| ১।

 

সন্ধ্যা আটটা, লেকের পাড় ধরে হাঁটছেন শওকত সাহেব। বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে করে চোখের ভারি ফ্রেমের চশমার কাচ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে বারবার। তাই মাঝে মধ্যে থেমে গেঞ্জির কোনা দিয়ে চশমার কাচটা মুছে নিয়ে আবার হাঁটছেন তিনি। বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই তার রুটিন। ঘড়ি ধরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় রাতের খাবারটা খেয়ে নেন, তারপর একঘন্টা লেকের পাড় ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে ঠিক নয়টার সময় ঘুমিয়ে পড়েন। 


বাড়িতে লোক বলতে তিনি একাই, স্ত্রী গত হয়েছেন প্রায় কুড়ি বছর আগে, বাচ্চা কাচ্চাও নেই। চাইলে অবশ্য আবার বিয়ে করতে পারতেন, কিন্তু কুড়ি বছর আগে এরকমই এক সন্ধ্যায় লেকের পাড়ে ঘটা ঘটনাটা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। সেই থেকে একটা দিনের জন্যেও হাঁটা বাদ দেননি।


লেকের চারপাশে এক চক্কর দিয়ে যখন টেনিস কোর্টের কাছাকাছি এসেছেন, তখন শওকত সাহেব দেখলেন ছাতা মাথায় কেউ একজন উল্টো দিক থেকে হেঁটে আসছে। কাছাকাছি আসতে লোকটা থেমে দাঁড়াল, তারপর চিকন মিহি কণ্ঠে বলল-


“আসসালামুয়ালাইকুম স্যার।”


কণ্ঠ শুনে চিনতে পারলেন শওকত সাহেব, লোকটার নাম মজিদ। একসময় তারই কলেজের ছাত্র ছিল। ফচকে ধরনের ছাত্র, কলেজ আর পাশ করেনি, এখন একটা ফার্মেসির দোকান দিয়েছে লেকের দক্ষিনে ক্লিনিকের পাশে। 


“ওয়ালাইকুম আসসালাম” - জবাব দিলেন শওকত সাহেব। তারপর জিজ্ঞেস করলেন-


“কেমন আছো মজিদ?” 

“আলহামদুলিল্লাহ স্যার, আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। খুব খুশি লাগতেছে স্যার, যে আপনি আমাকে চিনতে পারছেন।” 


“চিনতে পারব না কেন? আগের সপ্তাহেও তো তোমার দোকানে গেলাম” - অবাক হয়ে বললেন শওকত সাহেব।


একটু মিনমিন করে মজিদ বলল-


“না মানে স্যার, আপনাকে নিয়ে চিন্তায় থাকি, আপনিই আমাদের আসল শওকত স্যার কিনা সেই চিন্তা।”


কথা শেষ হতে মজিদের মিহি খিকখিক হাসির শব্দ শোনা গেল। মেজাজটা বিগড়ে গেল শওকত সাহেবের, কিছু না বলে তিনি আবার সামনের দিকে  হাঁটা ধরলেন। এমন বেয়াড়া প্রশ্ন অবশ্য তার জন্য নতুন কিছু নয়, বহু বছর ধরেই এই জ্বালাতন সহ্য করে আসছেন তিনি। কুড়ি বছর আগে সেই ঘটনাটা ঘটার পর কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক তারাপদ বাবুকে ঘটনাটা বলেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন তারাপদ বাবু হয়ত ঘটনাটার একটা ব্যখা দিতে পারবেন, কিন্তু তারাপদ বাবু ব্যাখা তো দিতে পারলেনই না, উল্টো কলেজময় জানাজানি হয়ে গেল সব। 


| ২।

 

শওকত সাহেব নিজে ছিলেন বাংলার ছাত্র, পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সরাসরি মফস্বলের এই কলেজে বাংলার লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। তখন অবশ্য কলেজ এত বড় ছিল না, একটা মাত্র পাকা দোতালা বিল্ডিং আর দুটো টিনের ঘর ছিল। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। তারপর বছরখানেক কেটে যেতে পরিবারের পছন্দে বিয়ে করলেন মালাকে। 


আহা, কি সুন্দর ছবির মত ছিল সেই দিনগুলি, সারাদিন কলেজে পড়িয়ে বাসায় ফিরতেন, তারপর সন্ধ্যায় মালাকে নিয়ে হাঁটতে বের হতেন এই লেকের পাড়ে। মালা ছিল তার স্ত্রীর ডাকনাম, তিনি অবশ্য ভালবেসে শঙ্খমালা বলে ডাকতেন। মালার পাশে হাঁটতে হাঁটতে মাঝে মধ্যেই আনমনা হয়ে পড়তেন শওকত সাহেব, পুরো পৃথিবীটাকে কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হত। রাতের বেলায় বাড়ির ছাদে উঠে পাটি বিছিয়ে পাশাপাশি শুয়ে থাকতেন দুজন, মালার আঙ্গুলগুলো খেলা করে যেত তার মাথার চুলে। তখন মালাকে জীবনানন্দের কবিতা শোনাতেন তিনি


“যেদিন আমি পৃথিবীর থেকে চলে যাব, হে শঙ্খমালা-

অপরিসীম নক্ষত্র তুমি বিছিয়ে রেখো আকাশে...”


কিন্তু স্বপ্নের মত দিনগুলো বেশিদিন স্থায়ী হলনা, বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় এক জুন মাসে মাত্র পাঁচদিনের জ্বরে ভুগে মালা চলে গেল তাকে ছেড়ে। মালাকে হারিয়ে তিনি পড়ে গেলেন এক নিদারুন হতাশার মধ্যে। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই মরে যেতে শুরু করেছিল একসময়ে। হয়তো মরেও যেতেন যদিনা কুড়ি বছর আগে লেকের ধারের সেই ঘটনাটা ঘটত।


| ৩।

 

মালার মৃত্যুর ছয়মাস পর ডাক্তারের পরামর্শেই সন্ধ্যায় লেকের পাড়ে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি। ডাক্তার বলেছিল এতে করে শারীরিক পরিশ্রম হবে কিছুটা, রাতে ভালো ঘুম হবে। সেই মত মাস দুয়েক হাঁটাহাঁটি করলেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হলনা। বরং লেকের পাড়ে হাঁটতে এলেই মালার কথা বেশি করে মনে পড়তে লাগল। 


কুড়ি বছর আগের সেই সন্ধ্যায় লেকের ধারে হাঁটতে হাঁটতে মালার কথাই ভাবছিলেন। আকাশে ভরা পূর্নিমার চাঁদ, লেকের জল ছুয়ে বয়ে চলা মৃদু বাতাস সব কিছু যেন আরো প্রকট করে তুলেছিল মালার অভাবটাকে। বারবার শুধু মনে পড়ছিল জীবনানন্দের কবিতার কথা, সেই যে “আট বছর আগে” কবিতার লোকটা, সেও তো এমনি এক পূর্নিমার রাতে একগাছা দড়ি হাতে করে গিয়েছিল অশ্বত্থের কাছে। সেদিনই তিনি ঠিক করলেন কলেজের চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবেন। নাহলে হয়তো মালার স্মৃতি ভোলা কোনদিনই সম্ভব হবে না তারপক্ষে। 


তারপর এইসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে টেনিস কোর্টের কাছে আসতেই আচমকা যেন একটা গর্তের ভিতরে পা দিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন রাস্তার উপরে। চোখে খানিকটা অন্ধকার দেখলেন প্রথমটায়, এরপর সম্বিত ফিরে পেয়ে উঠে দাঁড়ালেন। রাস্তায় তাকিয়ে গর্তটা খোজার চেষ্টা করলেন, কিন্তু তেমন কিছু চোখে পড়ল না। পড়ার সময় ধাক্কা সামলাতে গিয়ে বাম হাতের কনুইটা একটু ছড়ে গিয়েছিল। সেটা তেমন কিছু না হলেও ঝামেলা হল চোখ থেকে খুলে পড়ে চশমার কাঁচটা ভেঙে যাওয়াতে, তাই সেদিনের মত হাঁটা শেষ করে বাড়ির দিকে চললেন তিনি।


বাড়ির কাছাকাছি এসে অবাক হয়ে শওকত সাহেব দেখলেন ঘরের ভিতরে আলো জ্বলছে। তিনি একা মানুষ, বাড়ি থেকে বের হবার আগে সবকটা আলো নিভিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। তাহলে এখন আলো জ্বালালো কে? নিজেরই ভুল হয়েছে মনে করে দরজার সামনে এসে তালা খোলার জন্য চাবিটা হাতে নিতেই দারুন চমকে উথলেন তিনি। দরজায় তালা দেয়া নেই, কান পেতে শুনে মনে হল ঘরের ভিতরে হাঁটাচলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। যাহোক মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি নিয়ে দরজার কড়া নাড়লেন তিনি, আর তারপরই ঘটল তার জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। 


দরজাটা খুলে গেল। অবাক চোখে শওকত সাহেব দেখলেন হাসিমুখে মালা দাড়িয়ে আছে। তাকে দেখে মালাও অবাক, বলল-


“আজ এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলে যে?”


উত্তর দিতে পারলেন না তিনি, ঘরের ভিতরে ঢুকবেন কিনা সেটা নিয়েও দ্বিধায় পড়ে গেলেন। এমন সময় ঘরের ভিতর থেকে ছোট্ট একটা মেয়ে দৌড়ে এসে আধো আধো স্বরে ‘বাবা বাবা’ বলে হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরল তাকে। মালা এসে তাগাদা দিয়ে বলল -


“দাঁড়িয়ে রইলে কেন, হাতমুখ ধুয়ে এসো” 


বলতে বলতেই মালার চোখ পড়ল শওকত সাহেবের ভাঙ্গা চশমা আর ছড়ে যাওয়া হাতের উপরে। ব্যস্ত হয়ে উঠল মালা, উৎকণ্ঠিত গলায় জিজ্ঞেস করল-


“কি হয়েছে তোমার ?”


এবারে উত্তর না দিয়ে পারলেন না তিনি, আমতা আমতা করে বললেন-


“টেনিস কোর্টের ধারে, পড়ে গিয়েছিলাম” 


মালা নিজের হাতে শওকত সাহেবের হাতের ক্ষতটা পরীক্ষা করে দেখল একবার, তারপর বলল-


“তুমি চুপচাপ বোসো, আমি স্যাভলন নিয়ে আসি”


মালা চলে গেলে বসার ঘরে সোফার উপরে বসলেন শওকত সাহেব। বসার ঘরটাও কেমন বদলে গেছে, কাঠের টেবিল চেয়ারগুলো নেই, বদলে একটা সোফা আর কাচের টি-টেবিল দেখা যাচ্ছে। টিভিটা ঠিকই আছে, তবে টিভির উপরে সেলাই করা ফুলতোলা পর্দাটা যেন নতুন দেখছেন। ছোট্ট মেয়েটা তার পাশের সোফায় এসে বসেছিল, তার হাতে একটা আধখাওয়া আপেল, সে সেই আপেলটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল-


“বাবা খাও...খাও...”


শওকত সাহেবের বিস্ময় কাটছিল না। এসবই কি তার মনের ভুল? অথচ মালা বেঁচে থাকলে হয়তো এসব সত্যি হয়েই আসত তার জীবনে। তিনি হাত বাড়িয়ে আপেলটা নিলেন, তারপর মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলেন-


“মাগো, তোমার নাম কি?”


খিলখিল করে হেসে মেয়েটা বলল-

“ইরাবতী”


কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন শওকত সাহেব, এমন সময় তার মাথাটা কেমন ঘুরে উঠল, চোখের সামনে যেন একটা কালো পর্দা নেমে এল।


| ৪।

 

চোখের সামনের অন্ধকারটা যখন কেটে গেল তখন শওকত সাহেব দেখলেন তিনি পড়ে আছেন সেই রাস্তার উপরে। প্রথমটায় ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারলেন না ঠিকমত। কোথায় গেল মালা, কোথায় গেল ইরাবতী? নাকি রাস্তায় পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, তখনই কল্পনায় দেখেছেন এসব? কিন্তু তার চিন্তায় বাদ সাধল হাতের মুঠোয় ধরা আধখাওয়া সেই আপেলটা। সবই যদি কল্পনা হয়, তবে এই আধখাওয়া আপেলটা এল কোথা থেকে?


এই ঘটনার পর কেমন যেন হয়ে গেলেন শওকত সাহেব। সেই আধখাওয়া আপেলটা হাতে নিয়ে বসে থাকতেন সারাদিন। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পেতেন মালার মুখটা, সাথে করে ইরাবতীর মুখটাও। মেয়েটা দেখতে একদম তার মায়ের মত হয়েছে। খুব ইচ্ছে হত যদি আরেকবার দেখতে পেতেন মেয়েটাকে, একবার কোলে নিতে পারতেন। কাজকর্ম সব শিকেয় উঠল, কলেজের চাকরিটাও প্রায় যায় যায় অবস্থা হল। হয়তো চলেই যেত, যদিনা একদিন কলেজের লাইব্রেরিতে পত্রিকা পড়তে গিয়ে সেই লেখাটা চোখে না পড়ত। 


লেখাটা পড়তে গিয়েই তিনি প্রথম জানলেন, এই মহাবিশ্বের মত হুবহু এমন আরো অসংখ্য মহাবিশ্ব থাকার নাকি একটা সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা, যার নাম তারা দিয়েছেন “সমান্তরাল মহাবিশ্ব”। এইসব মহাবিশ্বের একটায় যেটা অবাস্তব, সমান্তরাল অন্য মহাবিশ্বে সেটাই নাকি হতে পারে বাস্তব। শওকত সাহেবের মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাল যে, প্রকৃতির খেয়ালবশে হয়তো কিছু সময়ের জন্য এমনই এক সমান্তরাল বিশ্বে চলে গিয়েছিলেন তিনি। যে বিশ্বে বেঁচে আছে মালা, আছে কন্যা ইরাবতী। একটা আশা জন্মাল তার মনে, কে জানে- প্রকৃতি যদি আরেকবার ভুল করে! আরেকবার যদি তাকে নিয়ে যায় সেই মহাবিশ্বে। যদিও এই কুড়ি বছরে সেটা হয়নি।


একটা সাইকেলের শব্দ শুনে চিন্তার সুতা কেটে বাস্তবে ফিরে আসেন শওকত সাহেব। মজিদের সাথে কথা বলে মনটা খারাপ হয়েছে বেশ, সেই হতাশটা আবার যেন ফিরে আসছে মনের মধ্যে। আসলেই তো, কতগুলো বছর চলে গেছে। এত বছরেও যখন হলোনা, তবে আর কি হবে? বৃষ্টির ছাঁটে আবারো চশমাটা ঘোলা হয়ে গিয়েছিল, একটু থেমে চশমাটা মুছে নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন তিনি। 


কিন্তু শওকত সাহেবের ভাগ্যটাই মন্দ, বাড়ির গলিতে ঢুকতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। ল্যাম্পপোস্টের আলো না থাকায় বেশ সমস্যায় পড়ে গেলেন তিনি। দুপুরের বৃষ্টিতে রাস্তার খানাখন্দে জল জমেছে, ওদিকে সাথে অন্যকোন আলোও নেই। যাহোক অন্ধকারটা চোখে সয়ে এলে সামনে পা বাড়ালেন তিনি, আর তাতেই ঘটল বিপত্তি, রাস্তার উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। জমে থাকা জলে জামাকাপড় ভিজে গেল, চোখ থেকে খুলে পড়ে হারিয়ে গেল চশমাটা। 


কোনরকমে উঠে দাঁড়িয়ে পথ হাতড়ে বাড়ি ফিরে এলেন তিনি। কিন্তু ঝামেলাটা হল তালা খুলতে গিয়ে। দরজায় যে তালা নেই ! তবে কি? 


নিশ্বাস চেপে রেখে দরজার কড়া নাড়লেন শওকত সাহেব। ঘরের ভিতরে একটা নারী কণ্ঠ শোনা গেল-


“ইরা, এই ইরা…দরজাটা খোল, দেখ তোর বাবা এসেছে কিনা?”


দরজা খুলতেই দেখা গেল মোমবাতি হাতে পরীর মত সুন্দর একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, শওকত সাহেবকে দেখে চমকে উঠে মেয়েটা বলল-


“বাবা, একি অবস্থা তোমার?”


ইরাবতীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না শওকত সাহেব, তার দুচোখে ততক্ষনে অশ্রুর বাঁধ ভেঙ্গেছে।


(সমাপ্ত)

 

S C Mondal