বেলুন আর সেই ছেলেটা - শুচিস্মিতা চক্রবর্তী

 

বেলুন আর সেই ছেলেটা

শুচিস্মিতা চক্রবর্তী



    টিপটিপ করে একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।ছোট থেকে শুনে আসছি রথের দিন নাকি বৃষ্টি হয়, তাবলে সমানে বৃষ্টি হয়ে যেতে হবে! টুবলু সকাল থেকে মুখ ভারি করে বসে রয়েছে।একটু বৃষ্টিটা ধরলেই ও জানে মা ওকে নিয়ে রথের মেলায় যাবে।সকাল থেকে তাই কোনো দুষ্টুমি করেনি।জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে মাঝে মাঝেই বৃষ্টির তীব্রতা বোঝার চেষ্টা করছে আর গলা চড়িয়ে বলছে,
“ মা, এবার বোধ হয় একটু কমেছে, নিয়ে যাবে না মা মেলায়?”
ছেলের আকুলতায় আমিও বুঝি খানিক উতলা হয়ে উঠেছি।সেই ছোট্ট বেলায় ফ্রক পরে একহাতে বাবা আর আরেক হাতে শক্ত করে মায়ের হাত ধরে ভীড় ঠেলে মেলা দেখা,নাগরদোলা চড়া আর বেলুন কেনার কথা মনে পড়ে যায়।টুবলুর তো তেমন কোনো বায়নাই নেই।শুধু মেলায় গিয়ে রকমারি দোকান দেখা আর নাগরদোলা চড়া ব‍্যস।ওর জন্য আমারও মনটা খারাপ হয়ে যায়।মনে মনে ভাবি ,বৃষ্টিটা একটু ধরে এলেই বেরিয়ে পড়বো মা-ছেলে দুজনায়।
কিন্তু ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে এল।আঁধার নামছে গাছের কোল বেয়ে।একটু পরেই টুবলুর বাবা অফিস থেকে ফিরবে।কিছুটা মন খারাপ নিয়েই বই খুলে বসে পড়ে টুবলু।দেখেই বুঝতে পারি ,বইয়ের দিকে একটুও মন নেই তার।দুই কান সজাগ হয়ে আছে বৃষ্টির আওয়াজ বাড়ছে না কমছে সেই দিকে।
গেটে একটা ‘খুট’ করে আওয়াজ হতেই দৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে টুবলু ; “মা,বাবা এসে গেছে...”
--কি গো, ভিজলে নাকি? সেই সমানে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।ভাবছিলাম, টুবলুটাকে নিয়ে একটু মেলায় যাব; তা আর বোধ হয় আজ হল না..
--কেন?এখন তো বৃষ্টি ধরে এসেছে।এবার যাও।
এক কাজ কর,চট করে এক কাপ চা আন, তারপর তিনজনে মিলেই মেলায় যাব।
“ইয়ে এ এ এ..”
টুবলু আনন্দে আত্মহারা হয়ে রেডি হতে ছুটল।আমিও ওর বাবার জন্য চা করে দিয়ে চটপট তৈরী হয়ে নিলাম।

    আমাদের এই দিকটা অনেকটা শহরতলির মত। কলকাতার গা ঘেঁষা হলেও উঁচু উঁচু আকাশছোঁয়া বাড়ি আর অফিস কোনোটাই তেমন চোখে পড়ে না।পরিবর্তে ছোট ছোট একতলা-দোতলা বাড়ি,দোকান-বাজার কিছু সবুজের সমাহার এখনও রয়েছে।তাই একটু সন্ধ‍্যে নামলেই মনে হয় বেশ খানিকটা রাত।ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,অন্ধকারে জোনাকির আলো এখনও চোখে পড়ে।বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে পিয়ালদিঘীর মাঠ ; সেখানেই বসেছে রথের মেলা।
দুটো বড় বড় ছাতা একটা থলের মধ্যে পুরে তিনজন রওনা দিলাম রথের মেলায়।বাড়ি থেকে হাঁটাপথ।পথটা আধো অন্ধকার হলেও মাঠের কিছু দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে বড় নাগরদোলা ,আকাশের পেট ফুঁড়ে ঘুরে চলেছে।মাইকের আওয়াজ, জেনারেটরের শব্দ, ছোট বড় রকমারি দোকানের আলো তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।টুবলু আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠে।টুবলুর চোখে খেলা করে আমাদের ছেলেবেলা।
 
    আমি ঘুরেফিরে কিছু ঘরসংসারের জিনিস পত্র কিনলাম।টুবলু কিছু রং-পেন্সিল,দু-একটা খেলনা গাড়ি কিনে নাগরদোলায় চড়ল।বাঁধনখোলা আনন্দ চোখে মুখে প্রকাশ পায় টুবলুর।ফেরার সময় কিছু খাওয়ার কিনে বাড়ির পথ ধরি তিনজনে।
 
    মেলার রোশনাই থেকে বেরিয়ে রাস্তায় কয়েক পা ফেলতেই হঠাৎ একটা কমবয়েসী ছেলে অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আমাদের সামনে যেন আবির্ভূত হল।আমরা তিনজনেই ভূত দেখার মত চমকে উঠলাম।পরণে হাফপ্যান্ট আর কালো মত একটা জামা।হয়ত অন্ধকার বলেই অমন রঙ মনে হচ্ছে।গায়ের রঙ ততোধিক কালো।মাথার চুল উস্কোখুস্কো।হঠাৎ করে ছেলেটি সামনে চলে আসায় কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতির সঞ্চার হয়।বিকট এক খ‍্যাসখ‍্যাসে গলায় ছেলেটি আমাদের বলে—
“ বেলুন নেবে গো,বেলুন? নাও না একটা...”
টুবলু বেলুন ভালোবাসলেও ঐ গলা শুনে আমাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।বুঝতে পারি ও বেশ ভয় পেয়ে গেছে।আমি হাত নেড়ে ছেলেটিকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে বলি।
--না না, আমরা বেলুন টেলুন নেব না; তুমি যাও।
ছেলেটির গলায় এবার একটু  আকুতি ফুটে ওঠে-
“ দুটো বেলুন নাও না গো, সেই থেকে একটাও বউনি হয়নি।খুব ভালো বেলুন..”
ঐ গলার আওয়াজ বেশিক্ষণ শুনলেই যেন অস্বস্তি লাগছে ; টুবলুর বাবা তাড়াতাড়ি বলে-
--ঠিক আছে,ঠিক আছে, দাও দুটো বেলুন।কত করে?
--এই বাবু, পনেরো করে এক একটা।
--এই নাও। বলে দুটো বেলুনের তিরিশ টাকা দিয়ে বেলুন দুটো নিয়ে আমরা ছেলেটিকে প্রায় কাটিয়ে আসছি এমন সময় শুকনো আকাশে কড় কড় কড়াৎ করে বুকফাটা বাজ পড়ে।অতর্কিতে সেই বিদ‍্যুতের ঝলকানিতে চোখ পড়ে ছেলেটির দিকে। এ চেহারা মানুষের ! ঝলসানো, কোঁচকানো পুড়ে যাওয়া এক বিকৃত মুখাবয়ব। আমি আঁতকে উঠি।টুবলু চিৎকার ভয়ে করে আমাকে জড়িয়ে ধরে।
আমরা প্রায় দৌড়ে পালিয়ে আসতে পারলে বাঁচি।
ছেলেটি আবার সেই অদ্ভুত খ‍্যাসখ‍্যাসে গলায় বলে ওঠে—
-ভয় পেলে দিদি,এ চেহেরা দেখে? তাইতো আঁধারে থাকি।চোর নই,খেটে খাই, তবু ছাড়লেনি গো ! সবাই মিলে অপবাদ দিয়ে মুখ পুড়ায়ে দিলে...আর এখন! একটা দীর্ঘশ্বাস মত বেরিয়ে এল।আমাদের শিড়দাঁড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত যেন নীচের দিকে নেমে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে।
 
    আমাদের তখন ঐ ছেলেটির দুঃখজাগানিয়া গল্প শোনার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে বা সাহস কোনোটাই ছিল না।কোনোরকমে তিনজনে একে অপরকে সাহস জুগিয়ে বাকি পথটুকু পেরিয়ে বাড়ি ফিরি। আকাশ তখন পুরোপুরি শান্ত।চারিদিকে অপার নিস্তব্ধতা।মাঝে মাঝে আকাশের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথের মত শব্দহীন বিদ‍্যুতের ঝলকানি।এ যেন ভয়ঙ্কর এক ঝড়ের পূর্বাভাস।
 
    তবুও নিজেদের ঘরে ফিরে শান্তি।তিনজনেই বাইরের জামাকাপড় ছেড়ে পরিস্কার হয়ে রাতের খাওয়া মিটিয়ে শোয়ার প্রস্তুতি করতে থাকি।একটা জিনিস তখন থেকে লক্ষ্য করছি,এত খেলনা পেয়ে ,মেলা ঘুরেও টুবলু যেন অসম্ভব রকমের শান্ত হয়ে রয়েছে।যেটা একেবারেই ওর স্বভাব বিরুদ্ধ।কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও মাথা নেড়ে খালি জবাব দিচ্ছে “ কই! কিছু না তো!”
তবে আমি বেশ বুঝেছি, ঐ ছেলেটিকে টুবলু কিছুতেই মাথা থেকে বের করতে পারছে না।বেলুন ওর ভীষন প্রিয় কিন্তু নিয়ে আসা থেকে এই বেলুনগুলো নিয়ে টুবলুকে একবারও খেলতে দেখলাম না।বেলুনগুলো যেন বড় অদ্ভুত ! স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা বড় আর যেন ভয়ঙ্কর রকমের স্থির।টুবলু ওগুলো নিয়ে খেলছেনা বলে দুটোকেই সুতো দিয়ে ঘরের একটা কোণে পেরেকের সঙ্গে বেঁধে দিয়েছি কিন্তু ফ‍্যানের হাওয়াতেও ওদুটোর কোনো নড়ন-চড়ন নেই।বহু বার নজর করলাম, ভাবলাম হাওয়াতে বেলুন নড়ে না? হয়ত চোখের ভুল ,হয়তো বা মনের কোণে কোনো ভয় থেকে এরকম মনে হচ্ছে।যখন নড়ছেনা তখনই হয়ত আমার চোখ পড়ছে।ছেলেটির অদ্ভুত খ‍্যাসখ‍্যাসে গলার স্বর,ঝলসানো চেহারা কিছুতেই যেন অবচেতন থেকে যেতে চাইছে না।হয়ত টুবলু বা ওর বাবারও তাই।
 
    কেউই মেলা থেকে ফিরে সে রকম কোনো কথাবার্তাই বলিনি। তারপর কাজ সেরে যে যার শুয়ে পড়লাম।বাইরে আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।জল পড়ার টুপটাপ আওয়াজ শুনতে শুনতে কখন  যেন ঘুমিয়ে পড়েছি।
কড়্ কড়্ কড়াৎ...
বিকট একটা বাজের শব্দে হঠাৎ ঘুম ভাঙে।আমি চমকে বিছানায় উঠে বসি।ঘরের হালকা নীল নাইট বাল্বের আলোটা কেমন যেন দপদপ করে বন্ধ হয়ে যায়।আমি অন্ধকারে হাতড়ে দেখি পাশে টুবলু নেই।কোথায় গেল?
বাথরুমে? কই জলের শব্দ হচ্ছে না তো? আমি চিৎকার করে ডাকি “টুবলু” ...গলা দিয়ে কেমন যেন একটা খ‍্যাসখ‍্যাসে আওয়াজ বের হয়।ঠিক ঐ ছেলেটির মত!
 
    সারা শরীর ঘামতে শুরু করে।আমি দৌড়ে বিছানা থেকে নামতে গিয়ে বিছানার ধারে শোয়া টুবলুর বাবার পায়ে ধাক্কা লেগে অন্ধকারে প্রায় হোঁচট খেয়ে পড়ি। কোনোরকমে সামলে ওর গায়ে ধাক্কা দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করি-
“এই ওঠো না,কি গো ওঠো...টুবলু কোথায়?এত অন্ধকার কেন? শুনছ? ওঠো না...”
 
    টুবলুর বাবা কি আমায় শুনতে পাচ্ছে না? ওর শরীর এত ঠান্ডা কেন? কিছু হল? 
আমার নিজের গলার স্বর নিজের কাছেই অচেনা মনে হচ্ছে।সেই এক অদ্ভুত খ‍্যাসখ‍্যাসে আওয়াজ ! আমি টুবলুর বাবার নিস্তেজ শরীর পেরিয়ে দরজার দিকে এগোই।কিন্তু কোথায় দরজা! ঘরের চারদিকের দেওয়াল হাতড়েও দরজা খুঁজে পাচ্ছি না কেন? আমি নিষ্ফল ক্রোধে, ভয়ে,হতাশায় দেওয়ালের গায়ে যত্রতত্র ঘুষি মারতে শুরু করি।আবার বিছানার কাছে দৌড়ে এসে টুবলুর বাবার গায়ে ধাক্কা দিতে শুরু করি...”ওঠো প্লিজ্..টুবলু কোথায় দেখ..” আবার দৌড়ে যাই দরজার খোঁজে ; দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা খেয়ে পড়ি।
হঠাৎ মনে পড়ে সুইচ বোর্ডের কথা।ঐ তো ঘরের ঈশান কোনে ,ঠিক দরজার পাশেই তো ছিল সুইচ বোর্ডটা।হাতড়ে হাতড়ে নাগালে আসে সুইচ বোর্ড।বোর্ডের সবকটা সুইচ একসাথে টিপতে শুরু করি।কিন্তু আলো জ্বলছে না কেন? তবে কি লোডশেডিং?
 
    কিন্তু দরজা কোথায়? সুইচবোর্ডের পাশেই তো ছিল। এই তো এই তো দরজা ...শুধু পর্দা দেওয়া ; খোলাই তো আছে,তাহলে এতক্ষণ ধরে পুরো দেওয়াল হাতড়েও আমি দরজা খুঁজে পাচ্ছিলাম না কেন? গায়ের জোরে পর্দা প্রায় ছিঁড়ে ফেলে এক দৌড়ে শোওয়ার ঘর থেকে বাইরের ঘরে আসি।প্রথমেই চোখ পড়ে বেলুনদুটোর দিকে।সেই পেরেক থেকে ঝোলানো অবস্থাতেই কি ভয়ঙ্করভাবে আন্দোলিত হচ্ছে দুটো বেলুন।এতক্ষণ ফ‍্যানের হাওয়াতেও যেগুলো অদ্ভুত রকম স্থির ছিল, সেগুলো এখন বন্ধ ঘরে ,বিনা ফ‍্যানের হাওয়ায় এমনভাবে নড়ছে কি করে?মনে হচ্ছে, কেউ যেন ঐ বেলুনগুলোর ভেতর বন্দী হয়ে রয়েছে।প্রাণপণ চেষ্টা করছে বেলুন দুটো থেকে বেরিয়ে আসার।
 কিন্তু এ ঘরে আলো কি করে জ্বলছে? শোওয়ার ঘরে তো আলো জ্বললো না? এখানে তো সব দেখা যাচ্ছে।টুবলু কোথায় গেল?—“টুবলু...টুবলু,তুই কোথায়? বাথরুমে?”
 
    কই বাথরুমে তো কোনো আলো জ্বলছেনা? আমি অস্থির হয়ে বাথরুমের দরজা ঠেলে ভেতরের অন্ধকারে তাকাই।তখনই আবার কড় কড় কড়াৎ করে ভয়ঙ্কর একটা বাজ পড়ে।বাথরুমের কাঁচের জানলায় বিদ‍্যুতের আলো প্রতিফলিত হয়ে আমার চোখে পড়ে।ক্ষণিকের সেই আলোয় মনে হয় আমার সামনে দাঁড়িয়ে সেই চেহারা...ঝলসানো, কোঁচকানো, পুড়ে যাওয়া ভয়ঙ্কর সেই মুখাবয়ব! খ‍্যাসখ‍্যাসে গলায় দুটো বেলুন নিয়ে বলছে— “বেলুন নেবে দিদি, বেলুন? নাও না গো দুটো..”
আমি চিৎকার করে দরজা বন্ধ করে বাইরে তাকাতেই আবার দেখি হাওয়া-বাতাসহীন ঘরে অদ্ভুতভাবে আন্দলিত হওয়া সেই বেলুনদুটোকে।ওগুলো যেন কিছুতেই আর সুতোর বাঁধন মানছিল না।দুটো বেলুন যেন দুটো হাত হয়ে আমার গলার দিকে ধেয়ে আসছে...আর সেই অদ্ভুত খ‍্যাসখ‍্যাসে গলা-“বেলুন নেবে দিদি? বেলুন?”
 
    আমি আর সহ্য করতে পারছি না।চিৎকার করলে নিজের গলা দিয়েও বেরোচ্ছে সেই অদ্ভুত খ‍্যাসখ‍্যাসে স্বর! দু-হাতে মাথার চুল ছিঁড়ে দিতে ইচ্ছে করছে...
 
    হঠাৎ চোখ পড়ে টেবিলে রাখা কাঁটা চামচটার দিকে।প্রচন্ড আক্রোশে কাঁটা চামচটা হাতে তুলে নিয়েই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি বেলুনদুটোর উপর ,ঠিক যেমনভাবে শেষ মুহুর্তে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত,অসহায় শিকার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও করে প্রতিঘাত, বাঁচার ক্ষীণ আশায় ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারীর উপর।
 
    বাজ পড়ার মতই বেলুনদুটো ফাটার বিকট আওয়াজে খানখান হয়ে যায় ঘরের নিস্তব্ধতা।চারিদিক আলোয় আলোময় হয়ে ওঠে আর আমার চোখে নেমে আসে অতল অন্ধকার।ভূপতিত হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে দূর থেকে শুনতে পাই টুবলুর ক্ষীণ স্বর...
“মা, মা, কি হল মা ? তুমি এখানে কেন?তুমি অমন করছ কেন মা??”

            
                                        **সমাপ্ত***
 
Suchismita Chakraborty