কোনো এক মুহূর্তে
রাখী ভৌমিক
তখন নক্ষত্রেরা ফুটেছিল মাটির বুকে,
আবেগে জড়াজড়ি করে নেমে এসেছিল,
আমাদের প্রেমানুভূতির সাক্ষী হতে...
বহুযুগ আগে শ্রাবস্তীর পূর্ণিমা রাতে-
এ ভাবেই হয়তো নেমে আসতো অকালবসন্ত।
হিমেল হাওয়ার শীতল পরশে অধর ওষ্ঠের উষ্ণতারা যখন খুঁজে পায় আপন দিশা।
রাগ ভীমপলাশির মূর্ছনার স্নিগ্ধ আবেগে
লজ্জারাঙা হয়ে ওঠে মূহুর্তেরা,
বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায়
শত শত পতোন্মুখ মেঘবৃষ্টিরা-
আর অদৃশ্য ক্যানভাসে ক্রমশঃ মূর্ত হয়ে ওঠে
সম্মিলিত অনুভবের আদরবাসারা।
ব্যস্ত ট্রামলাইন খোঁজে দিক ভুল হওয়ার ইচ্ছে দিনবদল হয় পরিযায়ী অনুভূতিগুলোর আকাঙ্খার।
এক সমুদ্র নীল ভেসে যায় আকাশকে রঙীন করার আশায়
লোলুপ মেঘেরা নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে যায় মাঝে মাঝেই
দিগন্তবিস্তৃত নির্জনতা ক্রমে নিজেদের আদর যাপনে মত্ত হয়ে ওঠে
তবুও গাছেদের শীৎকার শোনা যায় থেকে থেকে
অজানা আবিষ্কারের বেপরোয়া উৎসবে যোগদান করে অজস্র ভাসমান অনুভবেরা।
রঙীন গ্যাসবেলুন উড়ে যায় ভয়হীন স্পর্ধার গর্বে,
তখন শত শত নক্ষত্র প্রেমলাজে মুখ ঢাকে কুহকিনী রোদ চাদরে।
............................
Rakhi Bhowmik