প্রবন্ধ - ভালোবাসার ভাঁজে ভাঁজে - চিরঞ্জিৎ সাহা

ভালোবাসার ভাঁজে ভাঁজে

চিরঞ্জিৎ সাহা




" অঙ্ক কষে মাপতে গেলে দেখবে ডিফল্ট ব্রেনে ,
চেন টানলেই যায় না থামা ভালোবাসার ট্রেনে ...."
                                                    --- স্বরচিত


মানবমননে স্তরে স্তরে সাজানো অনুভূতিগুলির অন্দরে সর্বাধিক সংবেদনশীল অংশটা বরাদ্দ ভালোবাসার নামে । ভালোবাসা না থাকলে এ দুনিয়ার সৃষ্টির ঘড়ি থমকে যেত সেই কবেই । টেস্টটিউব নামক সায়েন্টিফিক টাইফুন আসার আগে অবধি আপনি , আমি কিংবা বিশ্বব্যাপী গোটা মানবসভ্যতা --- ধরাধামে সকলের আবির্ভাব কিন্তু ওই চিরন্তন জৈবিক পদ্ধতির হাত ধরেই ; যার মূলে রয়েছে দুজন নরনারীর প্রবলতম ভালোবাসার আদিমতম বহিঃপ্রকাশ । হোক না সে তাৎক্ষণিক কিংবা রোজনামচার তেলকালির ক্লান্ত আঁচের গতানুগিক অভ্যাসজাত ,হোক না সে বৈবাহিক কিংবা গোপন অবৈধ --- শারীরিক সোহাগ, কামকুঞ্জের আর্তনাদ আর অক্সিটোসিনের আহ্লাদের মাঝেও অন্তত সেই নাটকীয় মুহূর্তে প্রকট হয়ে বেঁচে ওঠে ভালোবাসার ভীষণতম রূপ । কোথাও নিষিদ্ধ , কোথাও আবার স্বভাবের চেয়েও অনেক বেশি স্বাভাবিক । কোথাও মুখ , কোথাও আবার রঙচঙে মুখোশের আড়াল ।  সত্যি আর মিথ্যের বিতর্কিত জ্যাকেটে , আজীবন কিংবা ক্ষণিকের বাঁধভাঙা মোহে --- ভালোবাসার প্রত্যক্ষ অবদান আমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির মূলেই কিন্তু জড়িয়ে রয়েছে অঙ্গাঙ্গীনভাবে  ; কখনও সেটা উৎসস্রোতেই পরিবর্তনহীন অব্যয় বয়ে চলে আজীবন , ছুঁয়ে থাকে সারাবেলা কিংবা অনুভূতির সমস্ত স্তরকে । কখনও আবার জাল কেটে বেরিয়ে যায় হাজার একটা প্রশ্ন তুলে ; মানবতার আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য করে বিধ্বস্ত ' ভালোবাসা ' শব্দটিকে । তাই , বিবর্তনবাদের হাত ধরে , প্রগ্রেসিভ ইভোলিউশনের দিকে যত এগিয়ে চলেছে মানুষ --- " জট বাড়ছে ভালোবাসার , নিত্যনতুন নামে ; 
চেনা মানুষ যায় বিকিয়ে অচেনা দরদামে । "


শুধু শারীরিক , বৈবাহিক কিংবা পারস্পরিক মানবসম্পর্ককেন্দ্রিক নয় ;  সৃষ্টিশীল এই বিশ্বের শিল্প, সাহিত্য , বিজ্ঞান সবকিছুই আদতে গড়ে ওঠে ভালোবাসার স্পর্শেই । যে সকল সম্পর্কে চাওয়া-পাওয়া কিংবা লাভ-ক্ষতির গাণিতিক হিসেব রন্ধ্রে রন্ধ্রে হেঁটে বেড়ায় অকুণ্ঠভাবে , তাকে ভালোবাসা না বলে ব্যবসা বলাই শ্রেয় । স্বামী বিবেকানন্দ ঘর ছেড়েছিলেন ভালোবাসা তথা মানবসেবার টানে । তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে জনসেবার নেশায় সমগ্র সভ্যতার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন তিনি এবং পেরেওছিলেন শেষমেষ । মৃত্যুর একশো আঠারো বছর পেরিয়ে আসার পরও আজও মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বিতরণে মগ্ন তাঁর তৈরি প্রতিষ্ঠান। ডিপ্রেশনে স্লিপিং পিলের চেয়ে এখনও অনেক বেশি কার্যকর ' সবার স্বামীজি'র কয়েকটা পাতা । নীচ জাতি , অজ্ঞ ,মুচি , মেথর কিংবা ভারতবর্ষকে ভালোবাসার আদর্শ নিয়ে বেড়ে ওঠা নরেন প্রতিদানে কোনোদিন আশা করেননি কিছুই । চেয়েছিলেন জাতিগত , ধর্মগত , পেশাগত ভেদাভেদ ভুলে মানবসমাজকে ভালোবেসে যেতে নিঃস্বার্থভাবে । কোনোরকম পার্থিব প্রত্যাশা না থাকার কারণেই সফলতার রূপ দেখেছিল তার ভালোবাসা । সংসার , কেরিয়ার , আর্থিক সমৃদ্ধির মোহকে জলাঞ্জলি দিয়ে ধৈর্য ধরে হেঁটেছিলেন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বিতরণের পথে । তাই , তাঁকে সরে আসতে হয়নি কোনোদিন । অশ্রু ঝরাতে হয়নি প্রতারিত হয়ে । আসলে , প্রত্যাশাহীন ভালোবাসায় আঘাত লাগার কোনো জায়গা থাকে না যে , তাই তো তা সদর্পে রাজ করে জীবনভর ।

শুধু শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসবেন বলেই সমস্ত জাগতিক মায়া কাটিয়ে আজ থেকে সাড়ে পাঁচশো বছর আগে ঘর ছেড়েছিলেন শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভু। একটা মূর্তির প্রতি ভালোবাসায় পার্থিব প্রাপ্তির আশা থাকে না বিন্দুমাত্র । আপাত অস্তিত্বহীন কোনো বিশ্বাসকে ছোঁয়ার জন্য নিজের সর্বসুখ বিসর্জন দিয়ে একনিষ্ঠভাবে ছুটে যেতে প্রয়োজন হয় পারিপার্শ্বিক মোহহীনতার । আর সেটা ছিল বলেই কৃষ্ণপ্রেমের পথে শ্রীচৈতন্য ছুটে যেতে পেরেছিলেন সমস্ত চেতনা দিয়ে । প্রেমের এমন সার্থক উদাহরণ ইতিহাসে আর কোথায় ! মোহময় ভালোবাসা অনেকটা কাঁচের পৃথিবীর মতো ; অল্প আঘাতেই ধসে পড়ে মোহের মোড়ক , গুড়িয়ে যায় কাঁচের পৃথিবী । কিন্তু সেসব স্বার্থদীর্ণ জাগতিকতার উর্ধ্বে উঠে অপ্রাপ্তির অলংকারকে সগর্বে যারা নিতে পারেন গলায় , ভালোবাসার পথে তারা দিশা হারান না কোনোদিন । জগাই-মাধাইয়ের ছোঁড়া কলসির কানায় আহত হয়েও প্রেম বিলিয়ে যান অকাতরে । ভালোবেসে যাওয়ার ঐকান্তিক অভ্যেস জাগতিক দেনা-পাওনা , হিসেবনিকেষ থেকে এদের সরিয়ে রাখে কয়েক যোজন দূরে আর ঠিক সেই কারণেই কৃষ্ণপ্রেমে নিজেকে উৎসর্গ করা মহাপ্রভু গোটা জীবন জুড়ে আর্তজনকে ভালোবাসা বিলিয়ে গেছেন অকাতরে । সমগ্র বিশ্বের মানুষকে চিনিয়েছেন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক অমোঘ শান্তিময় পথ । তাই তো মহাপ্রস্থানের পাঁচশো বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মহাপ্রভুর দেখানো ভালোবাসা অর্জিত শান্তির পথে লাখো লাখো মানুষ ছুটে চলেছে আজও ।

বিবেকানন্দ কিংবা মহাপ্রভুর এই ভালোবাসাকে মনুষ্য সমাজের একটা বড়ো অংশ ' আধ্যাত্মিকতা ' নামে আখ্যায়িত করতে চাইলেও আসলে তা ছিল এক নিখাদ প্রেম যাতে স্বার্থের কোনো কলুষিত সংস্পর্শ ছিল না । ছিল না কোনো দরকষাকষি কিংবা পার্থিব চাওয়াপাওয়ার জটিলতম অঙ্ক আর এভাবেই ভালোবাসার সার্থকতম প্রকাশে তা পরিচিত হয়েছে ' আধ্যাত্মিকতা' নামে । আসলে বিবেকানন্দ কিংবা মহাপ্রভু অন্য কোনো প্রাপ্তির নেশায় ভালোবাসার পথে আসেননি , ভালোবেসেছিলেন কেবল ভালোবাসার জন্য । আমাদের মনুষ্য সম্পর্কগুলোতে এমন নিঃস্বার্থতা আজ কোথায়!

বিজ্ঞানকে ভালোবেসে স্বেচ্ছায় নির্বাসনকে বরণ নিয়েছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি। বিনিময়ে , বিজ্ঞানের থেকে আশা করেননি কিছুই ; তাই চার্চের বিধানে কঠোরতম দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরও অপ্রাপ্তির শোকে ভিজে কোপারনিকাসের মতো সরে আসেননি বিজ্ঞানের পথ থেকে। 


বিপ্লবী হিসেবে কোনোরকম মাস মাইনে পেতেন না শহিদ ক্ষুদিরাম বসু । মৃত্যুর পর পরিবারের বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ লাভের কোনোরকম গল্প তো ছিলই না উপরন্তু তৎকালীন ব্রিটিশ শাসক কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল পুরোদমে । তথাপি , আঠারো বছরের ক্ষুদিরাম বসু দেশপ্রেমে ভর করে কিংসফোর্ডের গাড়িতে বোম মেরে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন হাসিমুখে । ফাঁসির মঞ্চে ওঠার সময় তাঁর মুখে কোনো চিন্তা , আফসোস কিংবা হতাশার ছাপ না দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ফাঁসুড়ে । আসলে , দেশমাতৃকার সাথে  ক্ষুদিরামের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না কোনো । স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিঃস্বার্থভাবেই সে ভালোবেসেছিল দেশকে । তাই , অপ্রাপ্তির কোনো আক্ষেপ গ্রাস করেনি তাঁকে । শেষ নিঃশ্বাস অবধি প্রাণপণে রয়ে গেছিলেন দেশপ্রেমের পথে ।

ভালোবাসা একটা শান্তির নীড় । যে শান্তি জীবনানন্দ খুঁজে নিয়েছিলেন নাটোরের বনলতা সেনের চোখে । কিন্তু , আজকের দিনে লাভ-ক্ষতির ন্যক্কারজনক হিসেব , স্বার্থপরতার করালগ্রাস ছাড়েনি ভালোবাসাকেও । শান্তিনীড়ের উপমা ছেড়ে ভালোবাসাও তাই আজ সততই যুদ্ধক্ষেত্র । পাহাড় জমছে ডিভোর্স ফাইলের। আসলে , আমরা আর ভালোবাসার জন্য ভালোবাসি না ; আজকের দিনে ভালোবাসা আদতে রূপগত সৌন্দর্য আর সম্পদগত ঐশ্বর্যের অঙ্ক মেলানোর খেলা । বর্গ-ঘন-যোগভাগ-বর্গমূল করে --- যেভাবেই হোক , ডানপক্ষকে মেলাতে হবে বামপক্ষের সাথে । জীবনে ভালোবাসা তাই আর আগের মতো ঝরণার স্বাভাবিক ছন্দে মেলে না ,বরং মেলে কঠোরতম গাণিতিক নিয়মে । প্রতিধাপে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কষে নামতে নামতে একসময় ডানপক্ষও আর মেলে না বাম পক্ষের সাথে । লাভ-ক্ষতির দড়ি টানাটানি চলতে চলতে আলগা হয়ে আসে সম্পর্কের বাঁধন । জীবন তখন খুঁজে নেয় নতুন কোনো সূত্র । বীজগাণিতিক নিয়ম ছেড়ে ক্যালকুলাসে বামপক্ষ মিলতে চায় নতুন কোনো ডানপক্ষের সাথে । ব্রেকআপের মতো শব্দরা তাই দ্রুতগতিতে উঠে আসে অভিধানে । আসলে , আজকের দিনে ফেসবুক , ইনস্টা , টুইটারে কথার জাল বুনে সুকৌশলে চলে ভালোবাসার দরকষাকষি তথা দাম বাড়ানোর মনস্তাত্ত্বিক খেলা । চুপিসারে নিলাম চলে রূপ কিংবা ঐশ্বর্যের । বিড দেওয়ার লোকেরও অভাব নেই অত্যাধুনিক ভার্চুয়াল বাজারে । কয়েকদিনের চুক্তি । বনিবনা না হলেই আবারও নতুন করে নিজেকে তুলে ধরা নেট-নিলামের মঞ্চে । গোটা ফেব্রুয়ারি জুড়ে চলে ভালোবাসার ফ্ল্যাট সেল । বিয়ের মন্ত্রের 'হৃদয়ম 'কে 'ঐশ্বর্য ' কিংবা ' সৌন্দর্য ' দিয়ে আজ তাই প্রতিস্থাপিত করাই যায় অনায়াসে । 


বছর কুড়ি আগে ভালোবাসায় এত্ত জটিলতা ছিল না , টিউশন থেকে ফেরার পথে এক বছর ধরে শুধু চোখাচুখি হয়ে গেছে দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার সাথে । কথা হয়নি কোনোদিন । শুধু ওই দেখাটুকুর জন্যই ছেলেটা সপ্তাহভর অপেক্ষা করে থাকত অঙ্ক টিউশনের । সমস্তরকম পারিবারিক অনুষ্ঠান ,নাচের ক্লাস বাদ দিয়ে মেয়েটাও ওই দুটোদিন সময়মতো ঠিক চলে আসত বারান্দায় । এটাই হয়তো ভালোবাসা । একদিন বারান্দায় ছেলেটা আর দেখতে পেল না মেয়েটাকে । বুকের সমস্ত সাহস কুড়িয়ে নিয়ে পাড়ার চায়ের দোকানে ইতস্ততভাবে জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারল , বাড়ি বিক্রি করে তারা চলে গেছে অন্যত্র । ছেলেটা আজও নীরবে ভালোবাসে মেয়েটাকে । আসলে ,ভালোবাসায় প্রাপ্তির আশা থাকতে নেই যে । থাকে শুধু শান্তি আর স্বস্তিপ্রদায়ী এক স্বর্গীয় অনুভূতি ।


কোনোদিন স্বামী হিসেবে পাবেন না জেনেও সাবিত্রীদেবী আজীবন ভালোবেসে গেলেন মহানায়ক উত্তমকুমারকে ; কোনো লোকদেখানো নেই , ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট নেই , বাহুল্য নেই , তিক্ততা নেই । হয়তো বুকের ভেতর লুকিয়ে চিৎকার করা অভিমানেরা আছে , হাসিচাপা কান্না আছে কিন্তু কোনো ঘৃণা নেই ,নেই কোনো ক্ষতির হিসেব । হৃদয়ের ভালোবাসা অনুভূতি হয়ে বেঁচে ছিল তখনও ,একবিংশ শতকের মতো পণ্য হয়ে বিকিয়ে যায়নি চৈত্রসেলে ।


লাভ-ক্ষতির পাটিগাণিতিক হিসাবে ভালোবাসাকে ব্যবসায় পরিণত করার পাঠ এখন আমাদের শেখানো হয় অনেক ছোট থেকেই । অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইংরেজি কিংবা বাংলার বদলে প্রায়শই বাচ্চাদের জোর করা হয় বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে । আসলে বিজ্ঞানকে ভালোবাসলে বিনিময়ে প্রাপ্তির সুযোগ অনেক বেশি থাকে যে….


অবচেতন মনে এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই  আদতে সবথেকে বেশি ভালোবাসে নিজেকে । আত্মসুখের পথই তাই তারা সন্ধান করে চলে আজীবন । কেউ সেই সুখ পায় মানবসেবায় , কেউ কৃষ্ণপ্রেমে , কেউ দেশসেবায় , কেউ আবার বিজ্ঞানচর্চায় । বাহ্যিক দৃষ্টিতে আত্মবঞ্চনা কিংবা আত্মপ্রবঞ্চনার কথা মনে হলেও , তাদের আত্মা কিন্তু সে পথেই থাকে চরমতম সুখী । তথাকথিত পার্থিব সুখের জলাঞ্জলির মধ্যেই খুঁজে নেয় নিজেদের ভালো থাকার রাস্তা ; বিবেকানন্দ, মহাপ্রভু , গ্যালিলিও কিংবা ক্ষুদিরামের মতোই যুগ থেকে যুগান্তরে অমর হয়ে বেঁচে থাকে তাদের ভালোবাসার গাথা। 
কেউ কেউ আবার মিষ্টিমুখে সোশ্যাল বাজারে দরদাম করে ভালোবাসার । ম্যাট্রিমণি সাইট যেন প্রেমের শপিং মল । আর্থিক প্রতিপত্তি আর সৌন্দর্যের ট্যাগ বসিয়ে ভালোবাসা নামক পণ্যের অবাধ বিক্রি সেখানে । তবে এসব বাধা পেরিয়ে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর বিশ্বাসে গড়া শান্তির প্রাসাদে সৌভাগ্যক্রমে একবার যদি ঢুকতে পারেন , অনলাইনের ওই নিলাম স্টলের কথা ভাবলেই দম আটকে আসবে । নিশ্চিত !

 .......................