শহর ও পথচারী
পার্থ দে
কত কি জানো তুমি, কত কি দেখো
রাতের সরণি একা হলে তার পাশে হাঁটো?
বল তাকে—সিগারেট? বা দিলীপের চা?
পকেট হাতড়ে সুখ-দুঃখ যা কিছু ঘষে
সিগারেট ধরিয়ে দিয়েছ তাকে!
কবেই তো শহরটা একা হয়ে গেছে
গরমে পুড়ছে জলে ভিজছে ফুটপাত
তুমি দেখোনি এসব—
জমে থাকা জল যত দুঃখ জড়ো করছে
তাদের নীল ঘূর্ণি খুঁজছে একটা উপশম
একটা মানুষ যে জমা দুঃখে
একটু
গোড়ালি ভেজাবে।
এত জানো—সরণির দুপাশে গাছেদের নাম জানো?
জানতে চেয়েছ নাম ধাম, মনের ঠিকানা
কতগুলো শিকড় উপড়ে গেল ঝড়ে
রাতের সরণিতে ওদের একা লাগে কিনা
গভীর রাতে ট্রাকের আলোয়
পাতারা চমকে উঠে ঈষৎ লজ্জা পায় কিনা
পথশিশুরা আর তার বিষণ্ণ স্রষ্টারা
আরও দূরতর স্বপ্নে তোমার
আসে কিনা জানো পথচারী?
ভাবো, একটু ভয়হীন হয়ে ভাবো
ভাবো, একটু হৃদয়বান হয়ে ভাবো
তুমি ভাবলে
তুমি আমি আর এ শহরটা
একটা তিন লাইনের
পবিত্র হাইকু লিখে ফেলতাম!